বাংলাদেশি রেশমিন এবার বিশ্বকাপ ড্রয়ের মঞ্চে

বাংলাদেশি রেশমিন

স্পোর্টস ডেস্ক : ইউরোপিয়ান ফুটবলে ক্রমেই বিখ্যাত হয়ে উঠছেন রেশমিন চৌধুরী। ক্রীড়া সাংবাদিক তিনি। কাজ করেছেন অনেক নামিদামি গণমাধ্যমে। সঞ্চালনাতেও বেশ পটু হয়ে উঠেছেন ৪৪ বছর বয়সী এই তারকা। ইতোপূর্বে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপা লিগের ড্র অনুষ্ঠানে দেখা গেছে তাকে। শুক্রবার রাতে তিনি হাজির হলেন কাতার বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠানে।

বাংলাদেশি রেশমিন

রোমাঞ্চকর ও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার ড্র পরিচালনায় অবশ্য তার একজন সঙ্গী ছিলেন। তিনি আরেক সঞ্চালক ইদ্রিস আলবা। ড্র অনুষ্ঠান হলেও সেখানে ছিল নাচ-গানের প্রদর্শনী। বিশ্বকাপের থিম সং ‘হাইয়া হাইয়া’ এর ট্রেলারও হয়েছে। পরে গানটি পরিবেশন করেছেন তিন শিল্পী ত্রিনিদাদ কারদোনা, ডেভিডো ও আইশা। এই অনুষ্ঠানেই উন্মোচন করা হয় বিশ্বকাপের মাসকট।

পুরো অনুষ্ঠান মাতিয়ে রাখেন রেশমিন এবং ইদ্রিস। দ্বিতীয়জনকে নিয়ে অবশ্য আগ্রহের জায়গা খুব কমই। বাংলাদেশি ফুটবলপ্রেমীদের জন্য মূল আকর্ষণ রেশমিন। তিনি যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত! তার জন্ম ১৯৭৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর। ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবেই ফুটবল বিশ্বে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন রেশমিন। কাজ করেছেন বিবিসি এবং বিটি স্পোর্টসে।

কেবল সাংবাদিকতা এবং সঞ্চলনাই নয়, রেশমিন একজন গায়িকা বটে। বিখ্যাত সংগীত শিল্পী নিতিন সাওহনের সাথে কাজ করেছেন। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন তিনি। ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত নেমসেইক ছবির জন্য গান গেয়েছিলেন রেশমিন। নানামুখি এসব প্রতিভার জন্য অনেক পুরস্কারও পেয়েছিলেন।

৬টি ভুলেই নারীদের হৃদরোগ বাড়ছে

২০১৫ সালে ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টের শুভেচ্ছাদূত হয়েছিলেন রেশমিন। ওই বছরের শেষ দিকে এশিয়ান ফুটবল অ্যাওয়ার্ডে মিডিয়া ক্যাটাগরির পুরস্কার জিতে নেন তিনি। স্বামী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লন্ডনে বসবাস করেন রেশমিন। রেশমিনের মাতৃভাষা বাংলা। এ ছাড়া ইংরেজি, স্প্যানিশ এবং ফ্রেঞ্চ ভাষাতেও দক্ষ তিনি।

লন্ডনে জন্ম এবং বেড়ে ওঠা রেশমিনের। ৪৪ বছর বয়সী এই নারী মাধ্যমিক পাশ করেছেন ওডফোর্ড কাউন্টি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে। বাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে (অর্থনীতিও অর্ন্তভুক্ত ছিল) স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। পরে এনসিটিজে থেকে সাংবাদিকতার উপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন রেশমিন।