অর্থনীতি ডেস্ক : বাংলাদেশের কৃষিখাত নিয়ে সম্প্রতি সতর্ক বার্তা দিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি। কৃষিতে অদক্ষতার বিষয়টি তুলে ধরে এডিবি’র সিনিয়র এক্সিকিউটিভ বলেন, প্রতি তিন বছর পর পর বাংলাদেশের কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয় এবং পরবর্তীতে খুব স্বল্প ও সীমিত লাভের মধ্য দিয়ে তারা ফের এ খাতে ফিরে আসেন। সম্প্রতি ইংরেজি দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এডিবি’র পক্ষ থেকে এই সতর্কবার্তা দেয়া হয়।
এডিবির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ বলেন, গত বছর আলুর দাম কমে যাওয়ার পর বাংলাদেশি কৃষকরা ১.০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি টাকয় প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি লোকসান করেছিলো।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগের পল্লী উন্নয়ন ও খাদ্য সুরক্ষার প্রধান আকমল সিদ্দিক বলেন, কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পায় না। কখনও কখনও দাম এত কম থাকে যার কারণে কৃষকরা তাদের ব্যয় পুনরুদ্ধার করতেই অক্ষম হয়ে যায়।
এশিয়া অঞ্চলের প্রায় ৯০ শতাংশ কৃষক ক্ষুদ্রতর কৃষক। যারা ২.০ হেক্টর কম জমির মালিক। গত ২৫-৩০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে মিঃ সিদ্দিক বলেন, খামার বাজার। বিশেষ করে বিনাশযোগ্য যেমন আলু, পেঁয়াজ এবং টমেটো নষ্ট হয় প্রতি তিন বছর অন্তর।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসে বাম্পার ফসলের পরে বাংলাদেশে ধানের দাম গত তিন বছরের তুলনায় এবছর নেমে এসেছিলো নিম্ন দামে। যার ফলে সারা দেশে কৃষকরা বিক্ষোভের মিছিল তৈরি করে এবং সেই কৃষক গুলোই নিজেদের জমিতে আগুনও দিয়েছিলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।