অর্থনীতি ডেস্ক : বাংলাদেশে ৪০টি প্রকল্পে এক হাজার দুইশ বাষট্টি কোটি ডলার অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক। চলমান এ ৪০টি প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের স্পেশাল ফেয়ারনেস ইনডেক্স (এসএফআই) একটি জরিপ সমাপ্ত করেছে। অবকাঠামো ও শিক্ষার মানোন্নয়নে বিনিয়োগের মাধ্যমে দারিদ্র্য কমিয়ে আনতে বাস্তবায়ন হচ্ছে এসব প্রকল্প।
জরিপ অনুযায়ী, এর মধ্যে অবকাঠামো ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ ও টেকসই উন্নয়নের জন্য ঋণ ও অনুদান দেয়া হয়েছে ৩৭টি প্রকল্পে। আর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য সামনে নিয়ে সরাসরি অর্থায়ন করা হচ্ছে বাকি তিনটি প্রকল্পে।
অর্থায়নের বিবেচনায় প্রকল্পগুলোর আকারেও ভিন্নতা রয়েছে। এর মধ্যে দেড় কোটি ডলার থেকে শুরু করে ৭৪ দশমিক ৫ কোটি ডলারের প্রকল্প রয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৬২ কোটি ডলার, যা দেশের জিডিপির ২ শতাংশ। গত এক দশকে দারিদ্র্য দূরীকরণে ধারাবাহিক উন্নতি হয়েছে। যদিও দেশের প্রতি চারজন মানুষের একজন এখনো দরিদ্র।
জরিপের জন্য বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের সব প্রকল্পের টিম লিডারদের কাছ থেকে জেলা পর্যায়ে বরাদ্দের একটি আনুমানিক হিসাব সংগ্রহ করা হয়েছে। দারিদ্র্যের হার, বিদ্যুত্প্রাপ্তির সুযোগ, মূল পেশা ও শিক্ষার প্রভাবসহ অন্যান্য লক্ষ্যমাত্রার সর্বশেষ তথ্যের সঙ্গে বরাদ্দের এ তথ্য যুক্ত করা হয়। বিনিয়োগ ও চাহিদার যোগসূত্র খুঁজে দেখতে এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংকের প্রকল্পগুলোর বরাদ্দ দেয়া সব অর্থের সমবণ্টন হলে দরিদ্ররা মাথাপিছু ২৬১ ডলার করে পেত। যদিও মাথাপিছু প্রকৃত বণ্টনের পরিমাণ ৫৩ ডলার থেকে ২ হাজার ৭৯১ ডলার। সবচেয়ে বেশি দরিদ্র থাকা ২০ শতাংশ পেয়েছে মোট বরাদ্দের মাত্র ৫ শতাংশ অর্থ। দুর্যোগ, ত্রাণ ও টেকসই পরিবেশ খাতের প্রকল্পগুলোয় নিচের দিকে থাকা ৮০ শতাংশ জেলা বরাদ্দ পেয়েছে মাত্র ৮ শতাংশ অর্থ।