জুমবাংলা ডেস্ক: ভারতের মালদহের ভারত-বাংলা সীমান্ত থেকে হান নামে এক চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে বিএসফ। তার কাছ থেকে প্রচুর সিম, ইলেকট্রকনিক্স জিনিস পাওয়া গেছে। খবর পিটিআই, আনন্দবাজার ও ডয়চে ভেলের।
শনিবার পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলা আদালত চীনের হুবেই প্রদেশের হানকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। তাকে এখন পুলিশ জেরা করছে। তাতে অনেক চাঞ্চল্যকর খবর উঠে আসছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
বিএসএফের অভিযোগ, হান প্রচুর সিমকার্ড ভুয়া ও পরিচয়পত্র দিয়ে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা সহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতারণা করা হতো।
হানের এক বন্ধু থাকতো গুরুগ্রামে, তার নাম সাং জুয়াং। তারা সেখানে একটি হোটেল চালাতো। সাং জুয়াংকে উত্তর প্রদেশ পুলিশ ২০১৯ সালে গ্রেফতার করে। তখন হানের নামেও মামলা দায়ের করা হয়। সেজন্য হান ভিসা পায়নি। সে তখন বাংলাদেশে যায়। সে গত ৮ জুন বাংলাদেশের চাপাইনবাবগঞ্জের একটি হোটেলে ছিল। সেখানে দুই দিন কাটিয়ে ভারতে ঢোকার সময় সে গ্রেপ্তার হয়।
হানের কাছ থেকে একটি অ্যাপল ল্যাপটপ, দুইটি আই-ফোন, একটি বাংলাদেশি, একটি চীনা ও একটি ভারতীয় সিম কার্ড পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে মার্কিন ডলার, ভারতীয় টাকা এবং বাংলাদেশি মুদ্রা পাওয়া গেছে।
ভারতের সরকারি সূত্র জানাচ্ছে, হান পুলিশি জেরার মুখে অনেক কথা বলেছে। সে মিলিটারি স্কুলের ছাত্র ছিল বলে জানিয়েছে। তারপর থেকে হান চরবৃত্তি করত বলে পুলিশের সন্দেহ বেড়েছে।
প্রবীণ সাংবাদিক আশিস গুপ্ত জার্মান ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ”চীনা নাগরিকের গতিবিধি রীতিমতো সন্দেহজনক। না হলে সে ওইভাবে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করত না। তবে তদন্তের পরই বোঝা সম্ভব সে কেন এইভাবে ভারতে ঢুকেছিল এবং অতগুলি সিমকার্ড পাচার করেছিল?”
![](https://inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2024/03/34-5.jpg)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।