জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনটি আলাদা বিভাগে ২০১০ সাল থেকে কর্মরত ৩৯৪ জন কর্মকর্তার তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে।
সোমবার এ তালিকাটি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে দাখিল করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
দাখিলকৃতদের মধ্যে ডিপার্টমেন্ট অব ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন্স অ্যান্ড মার্কেটস-১৪৭ জন, ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন্স ইন্সপেকশন ডিপার্টমেন্ট-৫৭ জন, ইন্টারন্যাল অডিট ডিপার্টমেন্ট-১৯০ জন ২০১০ সালে থেকে কর্মরত রয়েছেন।
এর আগে ওই তিন বিভাগে গত ২০০৮ থেকে ২০২০ সালে দায়িত্বে থাকাদের নাম, পদবি ও ঠিকানা সরবরাহ করতে ২১ জানুয়ারি নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই সময়ে অর্থপাচার রোধে এ কর্মকর্তাদের ব্যর্থতা আছে কি-না এবং দায়িত্ব পালনে ব্যর্থদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কি-না, তা ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে বলা হয়েছিল। সেটি আদালতে দাখিল করেন তারা।
এরপর সঙ্গে সঙ্গে পিকে হালদার যেদিন দেশ ত্যাগ করেছিলেন, সেদিন বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের দায়িত্বরতদের এবং দুদকের কে কে ছিলেন তার তালিকাও আদালতে দাখিল করতে হবে। এছাড়া পাসপোর্ট জব্দ থাকার পরও প্রশান্ত কুমার হালদার কীভাবে বিদেশে পালিয়ে গেলেন তাও জানতে চেয়েছেন। পিকে হালদারের মামলার সর্বশেষ অগ্রগতিও জানাতে চেয়েছেন আদালত।
পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনটি বিভাগে ২০০৮ সাল থেকে কর্মরতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকার বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা ১৫ মার্চের মধ্যে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এর আগে ২১ জানুয়ারি পিকে হালদার কাণ্ডে আর্থিক প্রতিষ্ঠান লুটপাট ও অর্থপাচারের বিষয়টি উদঘাটনে ব্যর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নামের তালিকা চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে এ তালিকা দাখিল করতে বলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।