বিনোদন ডেস্ক : ভালোবেসে আট বছর আগে বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান ও মডেল মারিয়া মিম। তাদের সংসারে ছয় বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। তবে অনেকদিন ধরেই সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না তাদের। প্রায় তিন মাস ধরে দুজনে রয়েছেন আলাদা। সিদ্দিক বাহিরে মানুষকে হাসালেও ভেতরে সে একটা ভিলেন- বলে মন্তব্য করেছেন সিদ্দিকের স্ত্রী মারিয়া মিম।
নিজের উপর চলা অ’ত্যাচারের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে মিম বলেন, ‘আমাকে যখন সে মা’রধর করত তখন তার ফ্যামিলির লোকজন তাকে আরও সাপোর্ট করত। মাঝে মাঝে সে আমাকে আর আমার বাচ্চাকেও মারা শুরু করে দিত। আর ওর ভাই যেটা তার সাথে থাকে, সে তাকে এসবে সাহায্য করত। তখন আমার কাছ থেকে ফোনও নিয়ে নেয়া হতো যেন পুলিশকে ফোন দিতে না পারি। দারোয়ানদের ফোন দিয়ে বলে বলা হতো মেইন গেট বন্ধ করে দেয়ার জন্য, যাতে বের হয়ে পুলিশের কাছে যেতে না পারি। আর এতো বড় এপার্টমেন্ট জানালা দিয়ে হেল্প চাইলেও কেউ হেল্প করতে আসত না। আমি চিৎকার করতাম। আমার গলা ব্যথা হয়ে যেত কাঁদতে কাঁদতে। ঠিক মতো কথা বের হত না।’
সিদ্দিকের নির্মমতার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশি এই মডেল বলেন, ‘সে নাকি কিং, তার অনেক ক্ষমতা। সে আমাকে মারার পরে ডাক্তারের কাছেও নিয়ে যেত না। আমার পরে একা একা যাওয়া লাগত। সে আমার একদিন পা ভেঙ্গে দেয়। সেই ভাঙ্গা পা নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। থানায় জিডি করব কিন্তু সাহস পাইনি। কারণ তার সাথেই আমাকে থাকতে হতো। সে আমার বাচ্চার সাথেও খারাপ ব্যবহার করত। আমার বাচ্চার স্কুল বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। কারণ সে আমার ছেলেকে এত টাকা খরচ করে পড়াতে পারবে না। কেমন বাবা সে?’
নিজের সন্তানের ভরণ পোষণ নিয়ে মিম জানান, ‘আমার টাকা দিয়ে আমি আমার বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তি করাই। সে আমার ভরণ পোষণও দিত না। ডাক্তার থেকে শুরু করে সব কিছু আমি ব্যবস্থা করেছি। সে সবসময় বাইরে বাইরে রাত কাটাত। অনিয়ম করে আসত, একদিন ৪ টায় তো আরেকদিন ৫ টায়। আবার কখনও আসত না।’
সিদ্দিকের অ’ত্যাচার শুধু মিম পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল না বলে বিডি২৪লাইভকে জানান মিম। তিনি বলেন, ‘সে এতটাই বদ মেজাজি যেটা শুধু তার ঘরের লোকই জানে। সে তার ড্রাইভারকে প্রতিদিন মারে। হাত না চালালে তার ভালো লাগে না। আজাইরা হাসে আর জোকারি করে কিন্তু তার ভেতরে সে এগুলা করে, অল্পেই রেগে যেয়ে হাত চালায়। কমিডিয়ান বাইরে, ঘরে সে ভিলেন।’
নিজের মুক্তি চেয়ে মিম বলেন, ‘আমার সাথে এত বছর অন্যায় হয়েছে। আমি এতদিন পরিবার ও সমাজের কথা চিন্তা করে সহ্য করেছি। আর কত? আর পারছি না। আমি এবার বাঁচতে চাই।’
এ বিষয়ে সিদ্দিক বলেন, ‘আমাদের ব্যক্তিগত বিষয়গুলো গণমাধ্যমে দেখে আমি খুব অবাক হয়েছি। বিভিন্ন সংসারেই এমন অশান্তি হয় আবার মিটেও যায়। আমাদেরও তেমনই হয়েছে। আমি জানি না কার প্ররোচণায় মিম গণমাধ্যমে এসব কথা বলছে। স্বামী হিসেবে আমার কাছে মনে হয়েছে মিমের মিডিয়ায় কাজের চেয়ে সংসারে মনোযোগী হওয়াটা বেশি দরকার। আমার তো আর্থিক সংকট নেই যে আমার স্ত্রীকে কাজ করে সংসার চালাতে হবে। আমাদের স্বপ্ন একটাই সন্তানটাকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা।’
‘গ্রাজুয়েট’ খ্যাত এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমাদের ছেলের বয়স এখন ৬ বছর। এটা তার স্কুলে যাওয়ার বয়স। এই সময়ে আমরা দুজনই যদি মিডিয়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি তাহলে আমাদের একমাত্র ছেলের ভবিষ্যৎটা নষ্ট হয়ে যাবে। এ কারণে মিমকে বলেছিলাম মিডিয়া থেকে দূরে থাকতে। এর বেশি কিছু না। ডিভোর্স দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি আমাদের মধ্যে। আমাদের সম্পর্কটা কেমন এটা মিডিয়ার সবাই জানে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।