জুমবাংলা ডেস্ক : নতুন সিমকার্ড ইস্যু নিয়ে বিটিআরসির দীর্ঘসূত্রতায় অসন্তুষ্ট মোবাইল অপারেটররা। তাদের অভিযোগ, দুই সপ্তাহের কাজ শেষ হয় না দুই মাসেও। এ কারণে বাজারে ছাড়া যাচ্ছে না প্রয়োজনীয় সিমকার্ড। এতে তাদের ব্যবসায়িক ক্ষতির পাশাপাশি রাজস্ব হারাচ্ছে সরকারও।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রতি সিমকার্ড বা ই-সিমের ভ্যাট ২০০ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করেছে সরকার। সূত্র বলছে, বছরে চার মোবাইল অপারেটর মিলে গড়ে সাড়ে চার কোটি সিমকার্ড বাজারে ছাড়ে। এ খাত থেকে সরকারের আয় হয় এক হাজার কোটি টাকা। নতুন করে ভ্যাট বাড়ানোয় এ খাতে যোগ হবে অন্তত আরও ৪৫০ কোটি টাকা।
তবে অপারেটরদের অভিযোগ, সরকার রাজস্ব বাড়ানোর চেষ্টা করলেও উল্টো পথে হাঁটছে বিটিআরসি। নিয়মানুযায়ী, নতুন সিমের জন্য নম্বর উল্লেখ করে তা অনুমোদনে বিটিআরসির কাছে আবেদন করতে হয় অপারেটরদের। এরপর নিয়ন্ত্রক সংস্থা যাচাই-বাছাই করে অনুমতি দেয়।
অপারেটরদের অভিযোগ, এই নতুন সিম ইস্যু করতে দুই থেকে আড়াই মাস নেয় বিটিআরসি, যা সবোর্চ্চ দুই সপ্তাহের বেশি লাগার কথা নয়।
রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাহেদ আলম বলেন, ‘রাজস্ব বোর্ড চাচ্ছে তাদের আয় বাড়াতে, অন্যদিকে নতুন নম্বর অনুমোদন না দেয়ার কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছর আমাদের আয় কমে গেছে। এমন অবস্থায় নতুন নতুন পরিকল্পনা নিতেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
অপারেটরদের সূত্র জানায়, সিমের প্লাস্টিক ও চিপ কেনা এবং কমিশনসহ বাজারে ছাড়তে প্রতিটি সিমে অন্তত সাড়ে ৫০০ টাকা খরচ হয়। ট্যাক্স বাড়ায় ভতুর্কি কমিয়েছে অপারেটররা। ছাড়তে পারছে না পর্যাপ্ত সিমকার্ড। ফলে বাজারে ৩৫০ টাকায় সিম কিনতে হচ্ছে গ্রাহককে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলছেন, দ্রুত নতুন সিম ইস্যু করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বর্তমানে চার অপারেটর মিলে সিমকার্ডধারীর সংখ্যা ১৯ কোটি ৫০ লাখ।
Get the latest Zoom Bangla News first — Follow us on Google News, Twitter, Facebook, Telegram and subscribe to our YouTube channel.