লাইফস্টাইল ডেস্ক : বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গাঁটে গাঁটে ব্যথা-যন্ত্রণা মোটেও সাধারণ নয়। এটা বাতের লক্ষণ। অস্টিওআরথ্রাইট্রিস হল এমন একটি অবস্থা, যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আপনার জয়েন্ট। দীর্ঘদিন ধরে বাতের যন্ত্রণায় ভুগলে আঙুল বেঁকেও যেতে পারে।
আরথ্রাইট্রিসে ব্যাপক প্রদাহ তৈরি হয় জয়েন্টে। গাঁটের যন্ত্রণায় ওষুধ খুব একটা কার্যকর হয় না। ব্যথার মলমও একটা সময়ের পর ফল দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এই সময় বাতের ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে কাজে আসতে পারে এই ৬ পানীয়।
গরম দুধে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পান। হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন যৌগ, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। গরম দুধও শারীরিক প্রদাহ কমায়। গাঁটের ব্যথা থেকে রেহাই পেতে হলদি-দুধ খেতে পারেন।
শুধু রোগা হওয়ার জন্য গ্রিন টি খাবেন না। গাঁটের ব্যথা কমাতেও এই চা উপকারী। গ্রিন টিয়ের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগ রয়েছে, যা প্রদাহ কমায়। পাশাপাশি জয়েন্ট ও পেশির স্বাস্থ্য বজায় রাখে।
আদা দিয়ে চা খেলে বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আদার মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা জয়েন্টের ব্যথা ও প্রদাহ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
জবা ফুলের চা আরথ্রাইট্রিস রোগীদের উপযোগী। আরথ্রাইট্রিসের উপসর্গকে নিয়ন্ত্রণে রাখে জবা ফুলের চা। এই চায়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
চেরির জুসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। আরথ্রাইট্রিসের যন্ত্রণা কমাতে এই ফলের রস উপকারী। তবে, চেরির জুসে কোনও রকম চিনি বা মিষ্টি মিশিয়ে খাওয়া যাবে না।
চিকেন স্যুপ খাওয়ার বদলে বোন ব্রথকে ডায়েটে রাখুন। চিকেন বা মাটনের হাড় সেদ্ধর জলে অনেক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা আরথ্রাইট্রিসের চিকিৎসায় সাহায্য করে। এটি জয়েন্টের কার্যকারিতা উন্নত করার পাশাপাশি ব্যথা-যন্ত্রণা কমায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।