জুমবাংলা ডেস্ক: সকাল ১১টায় সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মরদেহবাহী হেলিকপ্টার রংপুর সেনানিবাসে অবতরণ করবে। সেখান থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লাশবাহী গাড়িতে করে সোজা জানাযা স্থল রংপুর ঈদগাহ মাঠে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
তিনি জানান, গাড়িতেই থাকবে মরদেহ, কাচের ঢাকনার ওপর দিয়ে এক নজর দেখার ব্যবস্থা করা হবে। বাদ জোহর জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।
দাফনের বিষয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত কী জানতে চাইলে মোস্তফা বলেন, ‘আমরা চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি রংপুরে দাফন করার জন্য। ইতোমধ্যে পল্লী নিবাসে কবরও খোঁড়া হয়েছে। শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত স্যারের মরদেহ রংপুর থেকে নিতে দেওয়া হবে না।’
তিনি জানান, ‘আমরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি একা এই সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারব না। আমরা রংপুরেই দাফন করব। বাধা এলে আমারও প্রস্তুত আছি।’
রবিবার এরশাদের মৃত্যুর পর সাবেক এই সেনা প্রধানকে বনানীর সামরিক কবরস্থানে সমাহিত করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
স্ত্রী রওশন এরশাদ চান তার স্বামীকে ঢাকায় দাফন করা হোক। দলের নেতাকর্মীদের দাবি, এরশাদকে দাফন করা হোক উন্মুক্ত কোনো স্থানে; যেখানে তারা অবাধে যেতে পারবেন। এদিকে এরশাদকে তার নিজ জেলা রংপুরে সমাহিত করার দাবিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
দাফন নিয়ে এমন অনিশ্চয়তার মধ্যেই সোমবার জাতীয় সংসদ ভবন এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এরশাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে তার মরদেহ নেওয়া হয় জাতীয় পার্টির কাকরাইল কার্যালয়ে। সেখানে দলের প্রয়াত চেয়ারম্যানের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান দলের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।