আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গুয়েতেমালার সেনা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পরও যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে হন্ডুরাসের দারিদ্র্যপীড়িত অভিবাসন-প্রত্যাশীরা যাত্রা করেছেন। গতকাল রোববার গুয়েতেমালার ভেতরে সীমান্তবর্তী চিকুইমুলা এলাকায় নিরাপত্তা রক্ষীদের ব্যারিকেড অতিক্রম করতে গেলে অভিবাসন-প্রত্যাশীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ও লাঠিচার্জ করা হয়। তারপরও যুক্তরাষ্ট্রের পথে তারা পদযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, অভিবাসন-প্রত্যাশীরা আশা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন।
হন্ডুরাসের কার্লোস ফ্লোরেস নামের এক নাগরিক জানিয়েছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ, তার দেশে কোনো কাজ নেই। সেখানে কিছুই করার নেই।’ করোনা মহামারি ও সাম্প্রতিক সামুদ্রিক ঝড়ে হন্ডুরাস বিপর্যন্ত হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মেক্সিকোর অভিবাসন ইনস্টিটিউট আইএনই গণমাধ্যমকে বলেছে, গুয়েতেমালার সঙ্গে মেক্সিকোর দক্ষিণ সীমান্তের তাবাসকো রাজ্যে হন্ডুরাসের অভিবাসন-প্রত্যাশীদের সম্ভাব্য আগমন ঠেকাতে জাতীয় রক্ষীদের সতর্কাবস্থায় রেখেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গুয়েতেমালার নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার আগে হন্ডুরাসের অভিবাসন-প্রত্যাশীরা প্রায় ৪৩ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে এসেছিলেন। সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, হন্ডুরাসের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের এল প্রোগ্রেসো শহরের বাসিন্দা রাফায়েল বলেছেন, ‘বন্ধুরাষ্ট্র গুয়েতেমালা আমাদের সঙ্গে যে আচরণ করল তা খুবই দুঃখজনক।’
গত শনিবার (১৬ জানুয়ারি) কয়েকশ অভিবাসন-প্রত্যাশী নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছে। গতকাল সকালে অন্যরা নিরাপত্তা বেষ্টনী ভাঙতে গেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।