আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিজেকে দত্তক নেওয়া সন্তান হিসেবে জানার পর জর্জিয়ার নারী তামুনা মুসেরিদজে কীভাবে তাকে দত্তক গ্রহণ হয়েছিল, তার বাবার নাম কী সেসব বিষয়ে ২০১৬ সাল থেকে অনুসন্ধান শুরু করেন।
সে বছরই তার দত্তক নেওয়া মা মারা যান। পরিচয় খুঁজে পেতে তিনি ফেসবুকে একটি গ্রুপও খোলেন। গ্রুপের নাম রাখেন, ‘ভেদজেব’ বা ‘আমি খুঁজছি’।
এসময় তিনি আবিষ্কার করেন, জর্জিয়ায় শিশু পাচারের কথা। তারা অনেক মা-বাবাদের বলতো তাদের নবজাতক সন্তান মারা গেছে। আর সেই শিশুদের পরে বিক্রি করা হতো।
তামুনার ফেসবুক গ্রুপের এক ব্যক্তি জানান, তারা এক নারীকে চেনেন, যিনি ১৯৮৪ সালের সেপ্টেম্বরে তিবলিসি অঞ্চলে একটি সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন। যখন তামুনারও জন্ম হয়।
তামুনা তখন সেই নারীর খোঁজ শুরু করেন এবং ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই এক নারী জানান, ওই গোপন গর্ভধারিণী নারী তার খালা।
তামুনা এবার সেই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং ডিএনএ পরীক্ষা করানোর প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাবে শেষ পর্যন্ত ডিএনএ পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়। নিজেদের রক্তের সম্পর্ক মেনে নেন তমুনার মা। তামুনা তার বাবার পরিচয়ও জেনে নেন।
তিনি জানতে পারেন, তার বাবার নাম গুরগেন খোরাভা। ফেসবুকে খোঁজ করে আবিষ্কার করেন—বন্ধু তালিকায়ই ছিলেন তার বাবা।
প্রায় তিন বছর ধরে এই ফেসবুক বন্ধুত্বে তামুনার পরিচয় খুঁজে বের করার কর্মকাণ্ড অনেকবারই দেখেছেন গুরগেন। কিন্তু কখনোই বুঝতে পারেননি তামুনা তাঁর মেয়ে।
গুরগেন একসময় জর্জিয়ার স্টেট ব্যালে দলের নৃত্যশিল্পী ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।