লাইফস্টাইল ডেস্ক: আমরা কম্পিউটার চালু করার পরই কোনও কিছু ব্রাউজ করার আগে কয়েকবার রিফ্রেশ করে নিই। আবার মিনিটে মিনিটেও রিফ্রেশ করি। বন্ধ করার আগে আবারও কয়েকবার রিফ্রেশ করি। আমাদের অনেকের মধ্যেই এই ধারণা- বারবার রিফ্রেশ করলে কম্পিউটারের গতি বাড়ে। এমনকি যত বেশি রিফ্রেশ করা যায় গতি তত বাড়ে। কিন্তু এ ধারণা কি ঠিক?
বর্তমানে অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে উইন্ডোজ, ম্যাক ওএস ও লিনাক্স জনপ্রিয়। এর মধ্যে শুধু উইন্ডোজেই রিফ্রেশ বাটন আছে। অন্যগুলোতে রিফ্রেশ করার কোনও অপশন নেই।
রিফ্রেশের আসলে দরকারটা কি? আসলে রিফ্রেশের কাজ কম্পিউটারের গতি বাড়ানো নয়। তাই রিফ্রেশ যতই করি না কেন কপি পেস্ট দ্রুত হবে না।
উইন্ডোজ নিজের ফার্স্ট গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস (GUI) আনে ১৯৮৫ সালে উইন্ডোজ ১.০ সংস্করণে। গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসের জন্যই আমরা এখন মাউসে ক্লিক করে কম্পিউটারের কাজগুলো দ্রুত করতে পারি। এর আগে কমান্ড লাইনের সাহায্যে এসব কাজ করতে হতো। এখন গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস আরও উন্নত হয়েছে।
খেয়াল করবেন, আপনি যখন কোনও ফাইল ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড দিয়েছেন, ডাউনলোড হওয়ার পরও সেটা ফোল্ডারে দেখাচ্ছে না। কারণ, আপনার স্ক্রিনটা আগে থেকেই খোলা ছিল। গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস এখনও জানে না কোথায় আপনার ডাউনলোড দেয়া ফাইলটি জমা হয়েছে।
ঠিক তখন যদি আপনি আপনার কম্পিউটারটা রিফ্রেশ দেন তবে আগে থেকে খোলা থাকা স্ক্রিনটা একবার রিফ্রেশ হবে এবং আপনার ডাউনলোড দেয়া ফাইলটি স্ক্রিনে দেখাবে। কিন্তু যদি আপনি নতুন করে ডাউনলোড ফোল্ডারে ঢুকেন তবে রিফ্রেশ দেয়ার দরকার নেই। কারণ কম্পিউটার এখন কিছু সময় পর পর অটো আপডেট ও রিফ্রেশ নেয়।
কোনও কিছু কপি কিংবা পেস্ট করার ক্ষেত্রেও একটি ঘটনা ঘটে। তাই অযথা রিফ্রেশ দিয়ে সময় নষ্ট করার কোনও কারণ নেই। তাকে সুপারফাস্ট হবে না আপনার কম্পিউটার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।