জুমবাংলা ডেস্ক: গাইবান্ধার বালাসীঘাটে বালাসী-বাহাদুরাবাদ রুটে আজ (৯ এপ্রিল) পরীক্ষামূলক লঞ্চ সার্ভিস ও বালাসী নদী বন্দরের টার্মিনাল উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী বালাসী বন্দরে ড্রেজার বেইজ স্থাপন করা হবে। ফলে সেখানে সার্বক্ষণিক ড্রেজার থাকবে। নাব্যতা সচল রাখা হবে; আবার বন্দরটি গতি ফিরে পাবে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বালাসী-বাহাদুরাবাদ রুটে ইতিপূর্বে গৃহিত ফেরি সার্ভিসের উদ্যোগ সফল হয়নি। এই নৌরুটে পরীক্ষামূলক লঞ্চ সার্ভিস সফলতা পেলে পণ্য ও যানবাহন পরিবহনের জন্য ফেরির ব্যবস্থা করা হবে। সরকার ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের উদ্যোগ নিয়েছে। ইতো ৭ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হয়েছে।’
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. রফিকুল ইসলাম খান, গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান এবং পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) যমুনা নদীর উভয় পাড়ে নিরবছিন্নভাবে ফেরি ও লঞ্চ সার্ভিস প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বালাসী ও বাহাদুরাবাদে ফেরিঘাটসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় বালাসী ও বাহাদুরাবাদে ঘাট ও টার্মিনাল নির্মাণ করেছে।
এতে করে বৃহত্তর রংপুর বিভাগের সাথে ময়মনসিংহ বিভাগসহ দেশের অন্যান্য স্থানের যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধিত হবে। নতুন নৌপথ সৃষ্টির মাধ্যমে সহজ ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য। ফেরি ও লঞ্চ সার্ভিস উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১৩৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। বাহাদুরাবাদঘাট ও বালাসীঘাটের নৌপথের দুরত্ব ৩৯ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১০কিলোমিটার নৌচ্যানেল খনন করা হয়েছে; যার প্রস্থ ৩৭মিটার।
বেসরকারি ও বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার দ্বারা মোট ১৮.২০ লক্ষ ঘনমিটার খনন করা হয়েছে। বেসরকারি ড্রেজার দ্বারা ১৫ লক্ষ ঘনমিটার খনন করা হয়েছে। এজন্য ব্যয় হয়েছে ২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এই চ্যানেলে বর্তমানে ৯-১০ ফুট পানি আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।