জুমবাংলা ডেস্ক : আবদুল সোবহান (২৭) পেশায় রংমিস্ত্রি। বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন গত শুক্রবার। পরদিন শনিবার ছিল তার বাসররাত। রাতের খাবার-দাবার শেষে পরিবারের লোকজন নবদম্পতিকে বাসর ঘরে পাঠিয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু পরদিন সাতসকালে সকলের ঘুম ভাঙে নববধুর হাঁকডাকে। বাসর ঘর থেকেই উধাও। এরপর বরের সন্ধান পেতে তাকে খোঁজা হয় সম্ভাব্য সকল জায়গায়। পরিবারের লোকজন শরণাপন্ন হন থানা পুলিশেরও।
এর মধ্যেই, গতকাল রবিবার মধ্যরাতে হঠাৎ করেই বাড়িতে হাজির হন আবদুল সোবহান। এমন রহস্যময় ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের সুখিপুর গ্রামে। সোবহান ওই গ্রামের মো. বারাম আলীর ছেলে।
সোবহানের বড় ভাই আবদুর রউফ জানান, ‘বাসর ঘর থেকে নিখোঁজের প্রায় দুই ঘণ্টা পর পর্যন্তও তার (আবদুল সোবহান) মুঠোফোন সচল ছিল। এরপর থেকে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। রবিবার রাতে আমরা থানায় জিডি করতে গেলে ওই রাত আড়াইটার দিকে আমার বাড়ির লোকজন মুঠোফোনে জানান, অর্ধ অচেতন অবস্থায় ফিরে এসেছে সোবহান।’
সোবহানের বরাত দিয়ে ভাই আবদুর রউফ আরও জানান, ‘বাসর রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হয় আবদুল সোবহান। তখন সে শুনতে পায় তার এক চাচাতো ভাইয়ের কণ্ঠে কেউ একজন তাকে ডাকছে। তারপর কী ঘটে, তা বুঝতেই পারেনি সোবহান। পরে গতকাল সে তাকে ঢাকার গাজীপুরের ফ্লাইওভার ব্রিজের নিচে নিজেকে দেখতে পায়। সেখানকার লোকজনের সহায়তায় বাসে করে বাড়িতে ফেরে সে।’ বাড়িতে ফেরা আবদুল সোবহানের ঘাড়ে ও উভয় কানে তিনটি লালচে দাগ দেখা গেছে বলেও জানান আবদুর রউফ।
বিশ্বনাথ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দিদারুল আলম বলেন, ‘বাসর ঘর থেকে বর আবদুল সোবহান নিখোঁজের ঘটনায় তার ভাই থানায় এসে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) লিখানোর পরই খবর আসে বরকে পাওয়া গেছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।