জুমবাংলা ডেস্ক : মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয় উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে ঘুরতে এসে স্বামী ও স্ত্রীকে বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে স্বামীর সামনেই ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে (২১) ধর্ষণের অভিযোগ আশ্রয় দাতার বিরুদ্ধে।
রোববার (১১ জুলাই) রাতে উপজেলার দক্ষিণ মেদিনী মন্ডল গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষক কাবিল বেপারী ওরফে রাজ্জাক (২২) কে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার রাতে ওই এলাকা থেকে আসামি ধর্ষক কাবিলকে গ্রেপ্তার করে।
ধর্ষক কাবিল বেপারী ওরফে রাজ্জাক শিমুলিয়া ঘাটের পাবলিক টয়লেটের টাকা কালেকশনের কাজে কর্মরত। এবং ওই এলাকায় জমি ভাড়া নিয়ে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করতো।
জানা যায়, ওই নারী ঢাকা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতো।
লৌহজং থানা পুলিশের এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেখ আশরাফুল আলম জানান, রোববার ঢাকা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে স্বামীর ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় করে স্বামীর সাথে শিমুলিয়া ঘাটে ঘুরতে আসেন ওই ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী। সারা বেলা ঘুরাঘুরি করে রাত হয়ে যায়। এসময় স্বামীর অটোরিকশার চার্জ শেষ হয়ে যায়। এসময় পাশে শিমুলিয়া ঘাটে পাবলিক টয়লেটের টাকা কালেকশনের কাজে কর্মরত কাবিল এগিয়ে আসলে তাদের সঙ্গে কথাবার্তা হয়। এসময় কাবিল তার বাড়িতে অটোরিকশা চার্জের ব্যবস্থা আছে কথা বলে রাত ১০ টার দিকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এবং তার বাড়িতে রাত্রি যাপনে ব্যবস্থা করে দেন। রাত ৩ টার দিকে স্বামীকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে স্বামীর সামনেই ওই ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধর্ষণ করে আশ্রয় দাতা কাবিল। এ ঘটনায় পরের দিন সোমবার ওই নারী থানায় এসে অভিযোগ করলে রাতে আসামি কাবিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। নারী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামিকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।