জুমবাংলা ডেস্ক : ফেনীতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সাংসদ জয়নাল আবেদীন হাজারীর মাষ্টার পাড়ার বাড়িতে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় তিনি নিজে বাদি হয়ে গত শনিবার (১৫ আগস্ট) রাতে ফেনী সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার পর ২৫-৩০ জনের একদল মুখোশধারী কালো কাপড় পরা সন্ত্রাসী তার বসত বাড়ি ও বসত বাড়ির পাশে মুজিব উদ্যানে ব্যাপক গুলি বর্ষণ ও ভাংচুর করে। একই সময় তারা মুজিব উদ্যানের ভেতর প্রবেশ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও মুজিব উদ্যানের চেয়ারগুলো ভাংচুর করে। এতে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়্। পরে পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৫টি বন্দুকের খোসাসহ বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করেন। তিনি তখন বাসায় ছিলেন না। ঘটনার পর তিনি ভোরে ঢাকা থেকে বাসায় পৌঁছে উপস্থিত লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারেন। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্তের অনুরোধ করেন।
ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, সাবেক সাংসদ জয়নাল আবেদীন হাজারীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে সেটি মামলা হিসেবে থানায় রেকর্ড করা হয়েছে। মামলাটি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম তদন্ত করবেন। ওসি জানান, এ ঘটনার বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জয়নাল হাজারী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গত শনিবার তার মাষ্টার পাড়ার বাড়ির পাশে মুজিব উদ্যানে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ আহবান করেছিলেন। প্রতিপক্ষের বাধার কারণে সে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়নি।
শনিবার বিকেলে জয়নাল হাজারী তাঁর বাসভবনের সামনে সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন, একটি কথিত সিন্ডিকেট দলীয় নাম ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধাসহ তার অনুগতদের পথে পথে বাধা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। তাঁর বাসভবনের পাশেই মাইক বাজানো হয়। তিনি হাত মাইক ব্যবহার করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসীরা অনুসারীদের ছাড়াও তাঁর ভাইয়ের পরিবারকেও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এ জন্য তিনি ফেনীর বর্তমান সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধরণ সম্পাদক নিজাম হাজারীর নাম উল্লেখ না করলেও তাঁর (নিজাম) অনুসারীদের দায়ী করেন।
অপরদিকে গত কয়েকদিন আগে ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী এবং সোনাগাজী উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সোনাগাজী পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম জয়নাল হাজারীর বিরুদ্ধে তাঁদেরকে খুন করা হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করে সোনাগাজী ও ছাগলনাইয়া থানায় পৃথক দুটি সাধরণ ডায়েরী (জিডি) করেন।
১৫ আগস্ট জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক পটোকল কর্মকর্তা আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম জয়নাল হাজারীর প্রতি উঙ্গিত করে বলেন, একটি মহল শান্ত ফেনীকে আবার অশান্ত করার পাঁয়তারা করছে। কিন্তু শান্ত ফেনীকে আর অশান্ত করতে কাউকে দেওয়া হবে না।
সাবেক সংসদ জয়নাল হাজারীর অনুসারী ও জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক এম আজাহারুল হক আরজু জানান, তিনি (জয়নাল হাজারী) শুক্র ও শনিবার দুই দিন ফেনীর নিজ বাড়ীতে অবস্থান করে রোববার ভোরে ঢাকা চলে গেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।