গাইবান্ধার সাঘাটায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও দল থেকে বহিষ্কৃত নেতার মোটরসাইকেল শোডাউনকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ও দুটি সিএনজি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
ঘটনার জেরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
রবিবার (৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর মো. আল কামাহ্ তমাল স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, রবিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সাঘাটা উপজেলা ও আশপাশের এলাকায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিএনপি নেতা নাহিদুজ্জামানের মোটরসাইকেল শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুইটি গ্রুপ পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিচ্ছে, যা উপজেলা এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে অবনতির আশঙ্কা তৈরি করেছে।
জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন এই সময়ের মধ্যে অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার, মাইকিং বা শব্দযন্ত্র বাজানো, পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সমবেত হওয়া, সভা-সমাবেশ ও মিছিল আয়োজন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসেবে বহিষ্কৃত বিএনপির নেতা (স্বতন্ত্র প্রার্থী) নাহিদুজ্জামান নিশাদের মোটরসাইকেল শোডাউনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি কয়েক শ মোটরসাইকেল সাঘাটার জুমারবাড়ি থেকে ফুলছড়ি উপজেলায় যাবেন। শোডাউনে যোগ দিতে নিশাদের কয়েকজন সমর্থক মোটরসাইকেল নিয়ে জুমাবাড়ী যাচ্ছিলেন। পথে হাপানিয়া মোড় ও ডাকবাংলা বাজার এলাকায় পৌঁছলে গাইবান্ধা-৫ আসনের দলীয় মনোনীত প্রার্থী ফারুক আলমের সমর্থকরা তাদের বাঁধা দেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। এ সময় মোটরসাইকেল ও সিএনজি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
নাহিদুজ্জামান নিশাদের দাবি, হামলায় চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও চারটি মোটরসাইকেল আটককে রেখেছে ফারুক আলমের সমর্থকরা। আমার ১৫ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তারা প্রার্থমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরছেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত ট্যারিফ এক মাসের জন্য স্থগিতের নির্দেশচট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত ট্যারিফ এক মাসের জন্য স্থগিতের নির্দেশ
তিনি অভিযোগ করে বলেন,এটি একটি বড় পরিকল্পিত হামলা। আজকে যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তা আমি জানতাম না। আজ দুপুরে বিষয়টি জানতে পারছি।
সব অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফারুক আলম বলেন, নাহিদুজ্জামান নিশাত ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর। তিনি ১০ কোটি টাকার বিনিময়ে বিএনপিতে পদ নিয়েছিলেন। দলের হাইকমান্ড জানতে পেরে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। আজ তিনি ইউএনওর নির্বাহী আদেশ (১৪৪ ধারা) অমান্য করে বগুড়া থেকে লোকজন ভাড়া করে এনে ৫ হাজার মোটরসাইকেল দিয়ে শোডাউন করে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। জনগণ তা প্রতিহত করেছে।
এসব বিষয়ে সাঘাটার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, দুই গ্রুপের মধ্য কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে পুলিশ শক্তভাবে মাঠে অবস্থান করছেন। ১৪৪ ধারা ভেঙে কাউকে মাঠে নামতে দেওয়া হবে না। এ ঘটনায় সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ করেনি।
ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, নইলে আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে: শামা ওবায়েদ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



