জুমবাংলা ডেস্ক: বিএনপির আগুন সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও দু:শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে প্রস্তুত হতে যুবলীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।
তিনি আজ রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত যুব মহাসমাবেশে এ আহবান জানান।
আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যুব মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দলটির নেতাকর্মীরা বিদেশী ঋণ, গণতন্ত্র এমনকি সুযোগ পেলে বাংলাদেশকেও গিলে খাবে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “খেলা হবে…খেলা হবে! দুর্নীতি, দুঃশাসন, আগুন সন্ত্রাস, ভুয়া ভোটার তালিকার প্রণয়নকারী বিএনপির বিরুদ্ধে খেলা হবে। সকলে তৈরি হয়ে যান, এবার জবাব দেওয়া হবে।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, যুবলীগ কথা দিয়ে কথা রেখেছে। যুবলীগের মহাসমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্টের ঘাতকরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করলে শেখ মণি নেতৃত্ব দিতে পারে, সেই আশঙ্কা থেকে তাকেও হত্যা করা হয়েছে।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এতে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ।
বেলা আড়াইটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। সভা মঞ্চের সামনে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ উত্তোলন করেন দলীয় পতাকা। এরপর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ও জাতীয় সংগীত গেয়ে ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতিকে সভা মঞ্চে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে সামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর হাতে তারা ক্রেস্ট তুলে দেন।
মহাসমাবেশে আমির হোসেন আমু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার জন্য শেখ ফজলুল হক মনিকে যুবলীগ প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়েছিলেন। শেখ মনির নেতৃত্বে যুবলীগএকটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিনত হয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে ফেলার চক্রান্ত করেছিল। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে আসতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে মানুষের কথা চিন্তা করে দেশে ফিরে আসেন। জিয়ার অবর্তমানে তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যা করে। বিএনপি-জামায়াত চক্র এখনো চক্রান্ত করছে। সতর্ক থাকতে হবে।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম যুবলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি করবেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আমাদের বিজয় অর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আবার আগুন সন্ত্রাস করবে, মানুষ পুড়িয়ে মারবে, দুর্নীতি করবে, দেশ পিছিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হত্যা করবে। বিএনপি পাকিস্তানের এজেন্ট, এরা দেশের উন্নয়ন চায় না। বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, বেশি লাফালাফি করলে ফল ভালো হবে না। আমরা সুষ্ঠু ু নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চাই।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আওয়ামী যুবলীগ দেশের যে কোনো সংকট মুহুর্তে রাজপথে সংগ্রাম করেছে। যুবলীগ বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য দমনে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাস করতে চায়, আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিএনপি-জামায়াত দেশ ও মানুষের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস করলে জবাব দেয়া হবে।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ বিশ্বের দরবারে প্রশংসিত হচ্ছে।
যুবলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সন্ত্রাস, দু:শাসন ও দুর্নীতি থেকে দেশকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
যুবলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিজয় অর্জনের জন্য সামনের ১৪ মাস আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।