জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশ সোসাইটি ফর সেইফ ফুড (BSSF)-এর সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারী ও এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. খালেদ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সেইফ বায়ো প্রোডাক্টস লিমিটেড -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোহাম্মদ সরোয়ার জাহান।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে আগামী দুই বছর (২০২৩-২৪) এর জন্য কার্যনির্বাহি কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। উক্ত নির্বাচনে সংগঠনের সাধারণ সদস্যগণের সর্বসম্মতিক্রমে কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহ সভাপতি-১ পদে অধ্যাপক ড. এ কে এম মোস্তফা আনোয়ার, সহ সভাপতি-২ পদে ড. মো. নূরে আলম সিদ্দিকী, যুগ্ম মহাসচিব পদে ড. আমিনা খাতুন, কোষাধ্যক্ষ পদে ড. মাহমুদুল হাসান শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ড. মো. শরিফুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক পদে ড. শেখ শাহিনুর ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে অধ্যাপক ড. সুলতান আহমেদ এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। কার্যনির্বাহী সদস্য পদে ডা. এ কে এম খসরুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ইকবাল, মোহাম্মদ তারিক সরকার, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মহিদুল হাসান, ড. জাকিয়া রহমান মনিনির্বাচিত হয়েছেন । এক্স অফিসিও হিসেবে কমিটিতে থাকছেন সাবেক কমিটির সভাপতি ড. মো. রফিকুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক ড. কেএইচএম নাজমুল হোসাইন নাজির।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. মো. আইনুল হক এর সভাপতিত্বে নির্বাচন পরিচালনাকারী অপর দুই সদস্য হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বাহানুর রহমান ও জিমস্ টেক ইন্টারন্যাশনাল-এর ডা. এম আলী ইমাম।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর সেইফ ফুড (BSSF) প্রতিষ্ঠার পর খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে খাবার টেবিলে আসা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সকল ধাপে খাদ্য নিরাপদ রাখা নিশ্চিত করা ছাড়াও নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে স্কুল ভিত্তিক বিভিন্ন প্রোগ্রাম চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
কমিটির নব নির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. খালেদ হোসেন জানান, খাদ্য উৎপাদন বাড়লেও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণে আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে রয়েছি। সরকারের একার পক্ষে বা একক কোন সংগঠনের পক্ষে খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন এবং গ্রহণে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। আর এই সচেতনা তৈরির লক্ষ্যেই আমরা কাজ করবো। আমরা সবাই যদি নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে সচেতন হই তাহলে বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ থেকে বাঁচা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, আজাকাল অনেকেই কালাভূনা বা পোড়া খাবার খেতে পছন্দ করেন। আসলে কোন খাবারকে নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে যখন বেশি পোড়ানো হয় তখন সে খাবারের পুষ্টি গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। যা প্রকৃতপক্ষে আমাদের শরীর এবং স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই খাদ্য গ্রহণে সচেতনতা জরুরি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।