জুমবাংলা ডেস্ক : হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যখন বিরোধী দলের নেতা হিসেবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন, ঠিক সেই সময় রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপির চেয়ারপারসন রয়েছেন কারাগারে। ‘মারাত্মক অসুস্থ’ খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তাই হয়তো প্রয়াত এরশাদের ব্যাপারে বিএনপির প্রতিক্রিয়া খুবই দায়সাড়া গোছের। বেলা পৌনে ১২ টায় নয়াপল্টন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষে এরশাদের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা ম্যাডামের মুক্তির আন্দোলন-কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। এরশাদের ব্যাপারে পরে প্রতিক্রিয়া জানাব।’
সংবাদ সম্মেলনের পৌনে ২ ঘণ্টা পর বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদের স্বাক্ষর করা একটি শোক বার্তা গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। এক লাইনের ওই শোক বার্তায় বলা হয়, ‘বিএনপি মহাসচিব আজ এক শোকবার্তায় মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারবর্গ ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ছিলেন এরশাদের উপরাষ্ট্রপতি, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ছিলেন এরশাদের উপপ্রধানমন্ত্রী। বিএনপির এমন অনেক নেতাই আছেন, যারা এরশাদের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। কিন্তু বিদায় বেলায় তাদের কেউ-ই এরশাদের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে ন্যুনতম স্মৃতিচারণ বা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি। বরং বিষয়টি একেবারে এড়িয়ে যান তারা।
এরশাদের ব্যাপারে প্রতিক্রিযা জানতে চাইলে রবিবার (১৪ জুলাই) বিকাল ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাকে অনেকেই ফোন দিয়েছে, আমি কারও সঙ্গে কথা বলিনি। তোমার সঙ্গেও বলব না। মৃত ব্যক্তির সমালোচনা করা যায়?’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমি তার (এরশাদ) বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। তবে তার রাজনৈতিক জীবন নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাব না।’
অর্থাৎ সাবেক রাষ্ট্রপতি, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের নেতা এরশাদের মৃত্যুতে বিএনপির প্রতিক্রিয়া আর দশজন সাধারণ মানুষের মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ার মতোই! বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ বা চাঞ্চল্য নেই বিএনপিতে!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।