আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রে আরও ১৮ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশটিতে অন্তত ৬৩ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। আর যুক্তরাজ্যে নতুন করে ৮ জন বাংলাদেশির মৃত্যুর ফলে সেখানে বাংলাদেশির মৃত্যুর সংখ্যা হলো ১৯।
প্রবাসী বাংলাদেশি ও বাংলাদেশের কূটনীতিকদের কাছে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত ৯টি দেশে অন্তত ৯২ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া বাংলাদেশের নাগরিকদের অধিকাংশই ওই দুই দেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে ৬৩ ও যুক্তরাজ্যে ১৯ জনের পাশাপাশি সৌদি আরবে ৩ জন, ইতালি এবং কাতারে ২ জন করে এবং স্পেন, সুইডেন, লিবিয়া ও গাম্বিয়ায় একজন করে বাংলাদেশি মারা গেছেন। ঢাকায় তাবলিগ জামাত সূত্রে জানা গেছে, গাম্বিয়ায় মারা যাওয়া ব্যক্তিটি আফ্রিকার দেশটিতে তাবলিগের চিল্লায় অংশ নিয়েছিলেন। এছাড়া সিঙ্গাপুরে গতকাল একদিনে ২৬ বাংলাদেশি আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মৃত্যুবরণ করা বাংলাদেশিদের জন্য রাষ্ট্রীয় শোক প্রস্তাব জানানোর দাবি জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট (রামরু)। করোনায় মারা যাওয়াদের জন্য ১২ এপ্রিল দেশে এবং বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা সকাল ৯টায় (যার যার সময়) ১ মিনিট নীরবতা পালন করার প্রস্তাব দিয়েছে রামরু। সেই সঙ্গে তাদের জন্য ঋণ তহবিল গঠনেরও সুপারিশ করা হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে। গতকাল এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ ছাড়াও কিছু সুপারিশ উত্থাপন করেন রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকী।
রামরুর অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে আছে- অভিবাসনের দেশে সুরক্ষা, অভিবাসীদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখা, বায়রা এবং রিক্রুটিং এজেন্সির ভূমিকা রাখা, ফেরত আসা অভিবাসীর ম্যাপিং ও রিটার্নি ডাটাবেজ তৈরি করা, রেমিট্যান্সের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে রেমিট্যান্স প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা সচল রাখা, সরকারি বিনিয়োগ, বিদেশ প্রত্যাগত অভিবাসীদের অভিজ্ঞতা ব্যবহার করা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।