জুমবাংলা ডেস্ক: বৃষ্টিপাত বাড়ায় নদ-নদীর পানি বাড়ার পাশাপাশি কূল উপচে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আভাস রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রে জানিয়েছে, সুরমা ছাড়া দেশের সব নদ-নদীর পানি বাড়ছেই। তিস্তা, পদ্মা, যমুনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের চলমান বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর পরিস্থিতি সম্পর্কিত প্রতিবেদনে এ শঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সুরমা ছাড়া দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তরাঞ্চলের তিস্তা অববাহিকাভুক্ত নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের মধ্যাঞ্চলের রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর মথুরা ও আরিচা পয়েন্টের এবং পদ্মা নদীর সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপত্সীমা অতিক্রম করতে পারে।
তিনটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে জানিয়ে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পদ্মা নদীর পানি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে গড়াই নদীর পানি কামারখালী পয়েন্টে বিপত্সীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভারতের ওড়িশা ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি গুরুত্বহীন হয়ে মৌসুমি বায়ুর অক্ষের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
পাউবো বলছে, তাদের পর্যবেক্ষণাধীন বিভিন্ন নদ-নদীর ১০৯টি স্টেশনের মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার পানির সমতল বেড়েছে ৬৭টিতে। তিনটি স্টেশনের পানির সমতল অপরিবর্তিত আছে। কমেছে ৩৮টি স্টেশনের পানির সমতল। একটি তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়নি। বিপৎসীমার ওপরে তিন নদীর পানি।
এদিকে বাংলাদেশের উত্তরে এবং তৎসংলগ্ন ভারতীয় রাজ্যগুলোতে বৃষ্টিপাত বাড়ছে। আসাম, মেঘালয়, দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গে (জলপাইগুড়ি) বৃষ্টিপাত আরও বাড়ার আভাস রয়েছে। এক্ষেত্রে বাড়তে পারে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানিও।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel