জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের আগেই নিগার সুলতানা পুষ্পা (১৮) নামে এক নববধূর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নিগার সুলতানা বোয়ালখালী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের জঙ্গা তালুকদার বাড়ির আহমদ মিয়ার মেয়ে। মাত্র দুই মাস পূর্বে পশ্চিম গোমদন্ডী চরখিজিরপুর মহল্লার তালুকদার বাড়ির মো. হেলালের সঙ্গে বিয়ে হয় তার।
নিহত পুষ্পার মা রাবেয়া বেগম আহাজারি করে বলতে থাকেন, আমার পরীর মতো একমাত্র মেয়ের ঘটা করে বিয়ে হয় গত লকডাউনে। বিধিনিষেধ থাকায় সে সময় অনুষ্ঠান করা হয়নি। শুধুমাত্র আকদ পড়ে তারা মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। এখন বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান আয়োজনের কথাবার্তা চলছিল। এরই মধ্যে মেয়ের মৃত্যুর খবর।
নিহতের বড়ভাই মো. সাব্বিরের দাবি, বিয়ের কয়েক দিন যেতে না যেতেই নিগারের কাছ থেকে তারা জানতে পারে স্বামী হেলালের সঙ্গে তার বড় ভাবির অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় নিগারের উপর সবসময় নির্যাতন চালাত হেলাল। শেষ পর্যন্ত তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে পথের কাঁটা দূর করেছে হেলাল। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করছি।
নিহতের মামা নুরুল আবছার এটাকে সুস্পষ্ট হত্যাকাণ্ড দাবি করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
নিহতের স্বামী মো. হেলাল তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নিগার রাগ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় নিগারের বাপের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। বিকাল ৫টার দিকে দরজা ভেঙে ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় নিগারকে পাওয়া যায়। সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন তাকে।
বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল করিম বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা হাসপাতাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।