আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লন্ডন-সিলেট সরাসরি ফ্লাইটের দাবি দীর্ঘদিনের হলেও সরকার তা বাস্তবায়ন করছে না। এ নিয়ে লন্ডনে এসে মন্ত্রী, এমপিরা হরহামেশা আশ্বাস দিয়ে যান। তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি আশ্বাস কোন দিনই আলোর মুখ দেখেনি। বাংলাদেশ বিমান লন্ডন থেকে সরাসরি সিলেট গিয়ে নামলেও করোনাকালে তা বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে অন্যান্য এয়ারলাইন্সগুলোকেও সিলেট থেকে সরাসরি ফ্লাইট চালুর অনুমতি মিলছে না।
অপর দিকে শুক্রবার বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স (সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ) এক নোটিশে জানিয়েছে, এখন থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সে যারা লন্ডন থেকে সিলেট যাবেন, তারা ঢাকায় ইমিগ্রেশন করে সেখানেই তাদের ব্যাগেজ ক্লেইম করতে হবে এবং ঢাকা থেকে আবার নতুন করে বডিং পাস নিয়ে সিলেটে যাবেন। সিভিল এভিয়েশনের এ সিদ্ধান্তে ফুঁসে উঠছেন ব্রিটেনে বসবাসরত সিলেটীরা। এ নিয়ে বিভিন্ন সা্মাজিক ও কমিউনিটি নেতারা এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অনেকেই বিমান বয়কটের আহবান জানিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল, জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইউকে, ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স, গণদাবি পরিষদ।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল এবং হিলসাইড ট্রাভেলসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হেলাল খান এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ নিয়ে ধীরে ধীরে ক্ষোভের জন্ম হচ্ছে ব্রিটিশ বাংলাদেশি কমিউনিটিতে। কমিউনিটির সাধারণ মানুষ একে প্রবাসীদের প্রতি বিমানের নিপীড়নমূলক মানসিকতার বহিপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন।
এ বিষয়ে বিমানের লন্ডন অফিসের সাথে বারবার যোগাযোগ করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।