স্পোর্টস ডেস্ক: ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি কী ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে যেতে পারেন? সে রকমই একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হিসেবে সৌরভ এবং সেক্রেটারি হিসেবে জয় শাহ’র মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছরের অক্টোবরে।
এখন প্রশ্ন হল, সৌরভ এবং জয় শাহের জায়গায় নতুন করে কারা প্রেসিডেন্ট এবং সেক্রেটারি হিসেবে নিযুক্ত হবেন? নাকি সৌরভরাই বোর্ডের দায়িত্ব থেকে যাবেন?
তবে ভারতীয় মিডিয়ায় প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী সৌরভের মেয়াদ এই অক্টোবরে শেষ হয়ে যাবে। এরপর তারা আর এই পদে থাকবেন না। পরিবর্তে নতুন প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত করা হবে। জয় শাহ’র জায়গায়ও নতুন সেক্রেটারি নিযুক্ত করা হবে।
সৌরভ গাঙ্গুলি ২০১৫ সাল থেকে বাংলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সাথে যুক্ত ছিলেন। তার ৪ বছর পরে ২০১৯ সালে তাকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড, বিসিসিআই-এর সভাপতি করা হয়েছিল। স্পোর্টস টকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের অক্টোবরে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। এমতাবস্থায় তাকেও অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে এবং বোর্ড ফের নতুন চেয়ারম্যান পেতে পারে। তাঁর বোর্ড সভাপতির থাকাকালীন দ্বিপাক্ষিক সিরিজেগুলিতে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে ভারত।
সৌরভের বড় সাফল্যগুলির পেছনে অবদান রয়েছে রাহুল দ্রাবিড়েরও। রাহুল দ্রাবিড় ব্যাঙ্গালোরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির (এনসিএ) প্রধান হিসাবে কাজ করেন।
সৌরভ গাঙ্গুলির সময়কালে ভারতীয় ক্রিকেটে অনেক অদল বদল হয়েছে। বিতর্কও তৈরি হয়েছে বেশ। বিশেষ করে বিরাট কোহলির নেতৃত্ব নিয়ে। তবে কোভিডের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে ডামাডোল কম ছিল।
রাহুল দ্রাবিড়কে কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বড় চমক দেন সৌরভ। দ্রাবিড়ের জায়গা এনসিএ প্রধান হিসেবে ভিভিএস লক্ষ্মণকে নিয়োগ করা হয়। এটাও ছিল বড় পদক্ষেপ।
কিন্তু বিরাট কোহলির সঙ্গে তার বিরোধ ঘিরে একটি বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, কোহলিকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর পেছনে মূলতঃ দায়ী ব্যক্তি হলেন সৌরভ। যদিও এ ঘটনা সৌরভকে কতটা প্রভাবিত করবে, বা কে ভুল, কে ঠিক- এর তুল্যমূল্য বিচার করা খুবই কঠিন। কারণ প্রকৃত সত্য কেউ প্রকাশ করেনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।