জুমবাংলা ডেস্ক: ছয় ঋতুর দেশে বাংলাদেশ। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় ফসলের মাঠের চিত্র। এর ধারাবাহিকতায় একসময়ের সবুজ মাঠ হয়ে যায় হলুদ। এবার শীতে সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য পাল্টে দিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিস্তীর্ণ ফসল মাঠের চেয়ারা। চারিদিকে এখন শুধু হলুদ সরিষা ফুলের বর্ণিল সমারোহ।
সামান্য পরিচর্যা আর অল্প খরচে সরিষা চাষ করে লাভের আশা করতে শুরু করেছেন এই জেলার কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের তথ্য মতে, এই বছর জেলায় ২১ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ হয়েছে। এরমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ৬ হাজার ৩০০ হেক্টর, নাচোলে ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর, শিবগঞ্জে ৪ হাজার ২০০ হেক্টর, গোমস্তাপুরে ৩ হাজার ৩২০ হেক্টর ও ভোলাহাটে ১ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করছেন কৃষকরা।
আব্দুল খালেক নামের এক কৃষক বলেন, ‘আমন ধান কাটার পর জমি কয়েক মাসের জন্য পতিত পড়ে থাকে। আর সেই সুযোগেই অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষা চাষ শুরু করি। আবহাওয়া অনুকূলে এবং রোগ-বালাই না হলে ভালো ফলনের আশা রয়েছে।’
সাইদুর রহমান নামের অপর এক চাষি বলেন, ‘বিঘা প্রতি সরিষা চাষে ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। শুধুমাত্র বীজ ও আর সামান্য সার দিলেই সরিষা আবাদ করা যায়।’
ফারুক আহাম্মদ নামের চাষি বলেন, ‘সরিষা চাষে খরচ খুবই কম ও প্ররিশ্রমও কম লাগে। যার কারণে চরাঞ্চলে সরিষা চাষাবাদ বাড়ছে। বিঘায় ৫ থেকে সাড়ে ৬ মণ সরিষা পাওয়া যায়।’
উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা জিনেয়েছেন, সরিষা চাষে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। উপসহকারী কর্মকর্তারা নিয়মিত কৃষকদের খোঁজ খবর রাখছেন। এ বছর সরিষার ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, ‘জেলায় ১৭ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল। আবাদ হয়েছে ২১ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে। সব মিলিয়ে গত বছরের চেয়ে ৩ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে সরিষার বেশি আবাদ হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বারি ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ জাতের এবং বিনা ৪ ও ৯ জাতের সরিষা জেলায় আবাদ হয়েছে। সরিষা চাষে কৃষকরা যেভাবে আগ্রহ দেখাচ্ছেন, তা আসলেই ইতিবাচক। খরচের পরিমাণ কম হওয়ায় কৃষকরা এ ফসল উৎপাদনে দিনদিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।