জুমবাংলা ডেস্ক : বিশেষ মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হলো ২০২০ সালের ২৪ ঘণ্টার জোড় ইজতেমা। বয়ান, তাশকিল, গত এক বছরের দাওয়াতি কাজের মূল্যায়ন, আগামী এক বছরের দাওয়াতি কাজের দিক নির্দেশনা প্রদানের মধ্যদিয়ে শেষ হয় জোড় ইজতেমা।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১২ থেকে মোনাজাত শুরু হয়ে ১২টা ২০ মিনিটে মোনাজাত শেষ হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলীগের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা ফারুক।
তাবলিগের মিডিয়া সমন্বয়ক মুফতি জহির ইবনে মুসলিম জানান, শুরা-ই-নেজামের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এ ইজতেমায় (পরামর্শমূলক সভা) ঢাকার কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও তাবলিগ জামাতের শীর্ষ স্থানীয় মুরুব্বি হাফেজ মাওলানা জোবায়ের আহমেদের অনুসারী চার জেলার মোট ৪ হাজার মুসল্লি তিন চিল্লার সাথীরা অংশ নেন।
তিনি জানান, প্রতিটি জেলায়ই পৃথকভাবে জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুধু ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ জেলার তিন চিল্লার সাথীরা শুক্র ও শনিবার বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে অংশগ্রহণ করেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামী বছরের ৮, ৯ ও ১০ জানুয়ারি প্রথম দফা ও ১৫, ১৬, ১৭ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফা বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তবে আগামী বছরের এ বিশ্ব ইজতেমা বড় আয়োজনে নাকি সীমিত পরিসরে হবে তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে বলে জানা গেছে।
এবারের জোড় ইজতেমায় ঢাকা জেলার ২ হাজার ৫০০, গাজীপুর জেলার ৭০০, টাঙ্গাইল জেলার ৪০০ ও মানিকগঞ্জ জেলার ৪০০ মুসল্লিসহ সর্বমোট ৪ হাজার তাবলিগের তিন চিল্লার সাথীরা অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের বিশ্ব ইজতেমায় পরবর্তী বিশ্ব ইজতেমার তারিখসহ জোড় ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিলো। মহামারি করোনার কারণে এ বছর জোড় ইজতেমার নির্ধারিত সময় গত ২৭ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হলেও তা অনুষ্ঠিত হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।