স্পোর্টস ডেস্ক : ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালের ম্যাচে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে মাঠের লড়াইয়ে নেমেছে কেন উইলিয়ামসনের নিউ জিল্যান্ড। ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় ম্যাচটি শুরু হয়। কিন্তু ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ৪৬.১ তম ওভারে আকাশ ভেঙে নেমে এল বৃষ্টি। ফলে খেলা বন্ধ থাকে। পরে আর মাঠে গড়াইনি বল। খেলা বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ৫ উইকেট ২১১ রান সংগ্রহ করেছে কিউইরা। ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও রিজার্ভ ডে’র সুবিধার কারণ আজ বুধবার (১০ জুলাই) ম্যাচের বাকি অংশের খেলা হবে।
যদি আজও বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তবে পয়েন্টে এগিয়ে থাকায় ফাইনালে পৌঁছে যাবে বিরাট কোহলির ভারত।
অবশ্য আগে থেকেই আশঙ্কা ছিল বৃষ্টির। শেষ পর্যন্ত তাই সত্যি হয়। এদিন টসে জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
এবার বিশ্বকাপে কিউই দলে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা দিয়ে আশা একজন ক্রিকেটার। তিনি হলেন- জিমি নিশাম। সবকিছু ছাপিয়ে ভারতকে হারিয়ে যদি নিউজিল্যান্ড ফাইনালে ওঠে তাহলে নিশামের জন্য তা সৌভাগ্যের হবে এমনটা বলা যায়।
এদিকে বিবিসি বাংলার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রিকেটে বিশেষ কিছু ব্যক্তিত্ব আছে যাদের ছোট্ট তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা যেতে পারে নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার জিমি নিশামের নাম। ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বা জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে টুইটারে মতামত দেয়া নিশামের অন্যতম প্রধান কাজ।
এমনকি এই বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ওঠার যাত্রার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরীক্ষাও দিয়েছেন তিনি। খেলোয়াড়ি জীবনেও সফলই বলা যায় তাকে। ক্যারিয়ারের প্রথম দুটি টেস্টেই সেঞ্চুরি। এই বিশ্বকাপেও এক ম্যাচে অপরাজিত ৯৭ রান করেছেন এবং এক ম্যাচে পাচঁ উইকেটও নিয়েছেন।
চলতি বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ম্যাচ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে ম্যাচটিতে গুরুত্বপূর্ণ শেষ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জেতান নিশাম।
কিন্তু ২০১৮ সালেই বড়দিনের সময় ক্রিকেট খেলা ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। তার মতে, একটি যথাযথ চাকরি খুজঁছিলেন তিনি- ক্রিকেটের ওপর বিরক্ত হয়ে।
‘আমি ক্রিকেট ছেড়েই দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমার আর্থিক দায়বদ্ধতা ছিল।’ হল্টার নামের একটি কোম্পানিতে যোগাযোগ সহকারী হিসেবে একটি পার্ট-টাইম চাকরিও নেন তিনি, যারা গরু চড়ানোর সুবিধার্থে যান্ত্রিক কলার নিয়ে কাজ করতো।
‘এক বছর আগে আমি গরু নিয়ে যা জানতাম এখন তার চেয়ে বেশি জানি।’
ক্রিকেট নিয়ে নিজের হতাশার কথা জানান নিশাম, ‘ক্রিকেটে আপনি ১০ হাজার বল অনুশীলন করে মাঠে নামবেন এরপর দেখা যাবে, প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে আউট হয়ে গেলেন, তখন মনে হয় সব কষ্ট বৃথা।’
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তবে তিনি খেলা ছাড়েননি। নিজেকে বুঝিয়ে খেলা চালিয়ে গিয়েছেন। ওটাগো ওয়েলিংটনের হয়ে খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন তিনি। তবে তিনি মনে করেন, সৎ থাকলে ৯৫ শতাংশ ক্রিকেটারের একটা নির্দিষ্ট সময় পর ক্রিকেট নিয়ে বিরক্ত হওয়ার কথা।
তার মতে, এই খেলাটিতে ব্যর্থতার হার বেশি। ‘ইদানিং আমি আমার কষ্ট ও ফলাফলকে আলাদাভাবে ভাবি, আমি অনুশীলন করি যতটা আমার জন্য প্রয়োজন ততটা। মাঠে নামার পর যখন যা সামনে আসে মেনে নেই।’
নিশাম ধীরে ধীরে যোগাযোগ বিদ্যায় পারদর্শী হয়ে উঠছেন, বিশ্বকাপের মধ্যেও তিনি আলাদাভাবে একটি পরীক্ষা দেন যার তত্ত্বাবধানে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের টিম ম্যানেজার।
নিশামের মতে, এই ডিগ্রি তাকে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পরে রেডিও বা টেলিভিশন প্রেজেন্টার হতে সাহায্য করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।