আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইকনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের তালিকা অনুসারে এখন বিশ্বের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহর হলো অকল্যান্ড। প্রথম দশে আটটি শহরই এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের। খবর ডয়চে ভেলের।
অকল্যান্ডই সেরা
ইউরোপ বা অ্যামেরিকার শহর নয়, বাজিমাত করল নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড। ইকনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট(ইআইইউ)-র বিচারে করোনাকালে সেরা বাসযোগ্য শহরের তালিকায় এক নম্বরে অকল্যান্ড।
কেন অকল্যান্ড
নিউজিল্যান্ডের সব চেয়ে বড় শহর যে এই শিরোপা পেল, তার মূল কারণ, করোনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারা। যে কারণে ইউরোপ ও অ্যামেরিকার শহরগুলি এবার বাসযোগ্যতার নিরিখে অনেক পিছনে চলে গেছে এবং এক নম্বরে উঠে এসেছে অকল্যান্ড।
প্রথম পাঁচে
ইআইইউ-এর তালিকা অনুযায়ী, প্রথম পাঁচে আরো চারটি এশিয়া-প্যাসিফিকের শহর আছে। সেগুলি হলো ওসাকা, টোকিও, ওয়েলিংটন এবং অ্যাডিলেড। ইআইইউ এক বিবৃতিতে বলেছে, নিউজিল্যান্ডে কড়া লকডাউনের পর অকল্যান্ড, ওয়েলিংটনের মতো শহরগুলির জীবনযাত্রা আবার আগের মতোই হয়ে গেছে। উপরের ছবিটি টোকিওর।
প্রথম দশে অস্ট্রেলিয়ার একাধিক শহর
প্রথম দশে আছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড, পার্থ, মেলবোর্ন ও ব্রিসবেন। নিউজিল্যান্ডের মতো অস্ট্রেলিয়াতেও কড়াভাবে লকডাউন চালু করা হয়েছিল। তারাও করোনা মোকাবিলায় অনেকটাই সফল। তারই ফলে অস্ট্রেলিয়ার এতগুলি শহর প্রথম দশে উঠে এসেছে। উপরের ছবিটি অ্যাডিলেডের।
নেমে গেছে ভিয়েনা
এর আগে বাসযোগ্য শহরের তালিকায় এক নম্বরে ছিল ভিয়েনা। এবার প্রথম দশে ভিয়েনা নেই। তার স্থান ১২ নম্বরে। করোনাকালে বাসযোগ্য শহরের তালিকা কতটা বদলেছে, তা ভিয়েনাকে দেখলেই বোঝা যাবে।
হামবুর্গ ৪৭তম স্থানে
ইউরোপের শহরগুলি কম-বেশি সকলেই তালিকায় নীচে নেমে গেছে। তবে নীচে নামার ক্ষেত্রে রেকর্ড হামবুর্গের। ৩৪ ধাপ নীচে নেমে এখন জার্মানির এই শহর বিশ্বের ৪৭ তম বাসযোগ্য শহর।
করোনার কারণে
ইআইইউ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, করোনার কারণে ইউরোপের শহরগুলি তালিকায় নীচে নেমে গেছে। শহরগুলিতে কীভাবে করোনা মোকাবিলা হয়েছে, স্বাস্থ্য পরিষেবা কতটা ভাল, সেইসব বিষয় এবার প্রাধান্য পেয়েছে। উপরের ছবিটি প্যারিসের।
দামাস্ক শেষে
সিরিয়ার রাজধানী দামাস্ক এই তালিকায় একেবারে শেষে আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।