আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত ব্যক্তির অসাধারণ যাত্রা অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে। জন টিনিসউড, তার বয়স ১১১ বছর ২২৩ দিন। ভেনিজুয়েলার হুয়ান ভিসেন্টের ১১৪ বছর বয়সে মৃত্যুর পর মারসিসাইডে বসবাসকারী জন টিনিসউডকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির খেতাব দেওয়া হয়েছিল।
উত্তর ইংল্যান্ডের মার্সিসাইডে ১৯১২ সালে জন্মগ্রহণ করেন অবসরপ্রাপ্ত অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং প্রাক্তন ডাক পরিষেবা কর্মী টিনিসউড। তার দীর্ঘায়ুর রহস্য জানতে চাওয়া হলে তিনি একটি মর্মস্পর্শী উত্তর দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আপনি দীর্ঘজীবী হন বা কম আয়ুর অধিকারী হন- এটি আপনার হাতে নেই।
টিনিসউড বর্তমানে সাউথপোর্টের একটি কেয়ার হোমে থাকেন। তার মতে, মনকে সতেজ রাখা এবং জীবনযাত্রায় সংযম দীর্ঘ জীবনের চাবিকাঠি। দ্বিতীয় লিভারপুল এফসি ফ্যান টিনিসউডের বিশ্বযুদ্ধের সময় তার স্ত্রী ব্লডওয়েনের সঙ্গে দেখা হয়েছিল এবং তারা ১৯৪২ সালে বিয়ে করেন।
১৯৮৬ সালে ব্লডওয়েনের মৃত্যু পর্যন্ত এই দম্পতি ৪৪ বছর ধরে সংসার সামলেছেন। তাদের মেয়ে সুসানের জন্ম ১৯৪৩ সালে। ১৯৭২ সালে অবসর নেওয়ার আগে পর্যন্ত রয়্যাল মেল, শেল এবং বিপির জন্য কাজ করেছিলেন জন টিনিসউড। এখনো লরেন্স রোডের স্কুলে যাওয়ার প্রথম দিনটি দিব্যি মনে আছে তার। তিনি বিশেষ কোনো ডায়েট মেনে চলেন না। তবে প্রতি শুক্রবার খাবারের তালিকায় তার অতি প্রিয় খাবার, মাছ এবং চিপস থাকেই। জীবনকে স্বাস্থ্যকর করে তোলার জন্য মাথায় কম চাপ নেওয়ার এবং মানুষের সঙ্গে প্রাণ খুলে কথা বলার পরামর্শ দিচ্ছেন টিনিসউড। টিনিসউডকে ৪ এপ্রিল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত নারী এবং সামগ্রিকভাবে সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হলেন স্পেনের মারিয়া ব্রানিয়াস মোরেরা, যিনি সম্প্রতি তার ১১৭তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন। সবচেয়ে বয়স্ক মানুষের জীবিত থাকার প্রমাণ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের জেরোন্টোলজির সিনিয়র কনসালট্যান্ট, রবার্ট ইয়ং এবং জেরোন্টোলজি রিসার্চ গ্রুপ দ্বারা পরীক্ষা করা হয়েছিল।
সূত্র: বিবিসি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।