জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের রাজেষ্যরদী গ্রামে বিয়ের দুই দিন পর শনিবার রাতে এক নববধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
নিহত নববধূর নাম স্বপ্না আক্তার (১৯) এবং তার স্বামীর নাম মো. সাগর। রোববার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে স্বপ্নার লাশ দাফনের জন্য হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত স্বপ্নার মা ও বাবার সঙ্গে কয়েক বছর আগে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ওর মা অন্যত্র বিয়ে করে চলে যায়। তখন থেকে স্বপ্না মামা বশার হাওলাদারের বাড়িতে বড় হয়। গত ৫ আগস্ট স্বপ্নাকে মুকসুদপুর উপজেলার বিশ্বম্বর্দী গ্রামে সাগর নামের এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়।
স্বপ্না বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে দুই দিন থাকার পর মামার বাড়ি চলে আসে। স্বপ্না আর ওই স্বামীর বাড়ি যাবে না বললে মামারা স্বপ্নাকে শাসন করেন। অভিমানে স্বপ্না শনিবার সন্ধ্যায় মামার ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। মামি তাকে ঝুলতে দেখে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা স্বপ্নাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজেষ্যরদী গ্রামের মো. দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, স্বপ্নার সঙ্গে তার স্বামীর বনিবনা না হলেও মামা তাকে শ্বশুরবাড়ি দিয়ে যান। মামা ও তার ভাতিজারা তাকে জামাই বাড়ি যেতে চাপ দেয় এবং মারধর করে। পরে সে সন্ধ্যায় ফাঁস দেয়। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে মামার বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ওসি মো. শফিকুর রহমান বলেন, পরিবারের ভাষ্যমতে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। সুরতহালে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না বলে রাজৈর থানার ওসি জানিয়েছেন। আমরা ইউডি মামলা নিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।