এরই মধ্যে প্রতিবেশিরা স্বামীকে ডেকে বলেন, রাতের বেলা তার স্ত্রী দেয়াল টপকে প্রতিবেশির বাড়িতে ঢুকে টেলিভিশন এবং কিছু কাপড় চুরি করে এনেছেন।
কিন্তু দুই ঘরে চুরির সামগ্রী না পেয়ে সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে সন্দেহ করেন নি স্বামী। এদিকে বিচার না পেয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন প্রতিবেশিরা। পুলিশ এসে স্ত্রীকে ধরে নিয়ে যায়। ওই সময় হিজাব ও বোরকা পরে ছিলেন ওই নারী।
থানায় নিয়ে গিয়ে নারী পুলিশ দেহ তল্লাশী শুরু করে। আর ওই সময় তারা বুঝতে পারেন, পুলিশ নারী হিসেবে যাকে ধরে এনেছেন, তিনি আসলে পুরুষ। এরপর তার স্বামীর কাছে ফোন যায় পুলিশের।
পুলিশ তাকে জানায়, সোয়াবুল্লাহ নাবুক নামের নারী অর্থ্যাৎ তার স্ত্রী হিসেবে থাকা ব্যক্তি আসলে পুুরুষ।
তবে সেই কথাও বিশ্বাস করেননি স্বামী মুহাম্মদ মুতুম্বা।
তিনি পুলিশের কাছে আবেদন জানান, তার স্ত্রীর গোপনাঙ্গ দেখবেন। সে অনুসারে মুতুম্বাকে সেই অনুমতি দেয় পুলিশ।
জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উগান্ডার কাউঙ্গা জেলার কিয়ামপিসি গ্রামে।
পুলিশ জানিয়েছে, নারী সেজে থাকা ওই যুবক আসলে চোর। তার আসল নাম রিচার্ড তুমুসাবি। মুতুম্বার টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই তিনি নারী সেজে বিয়ে করেছেন।
অন্যদিকে মুতুম্বা তাদের গ্রামের মসজিদের ইমাম।
তিনি বলেন, আমি বিয়ের জন্য দীর্ঘদিন ধরে পাত্রী খুঁজছিলাম। আমি যখন এতো সুন্দর মেয়েকে হিযাব পরে দেখেছিলাম, তাকে ভালোলাগার কথা বলেছিলাম। সে রাজি হয়েছিল। সেই সঙ্গে সে বলেছিল, আমি তার বাবা-মায়ের কাছে মোহরানার টাকা না দেওয়া পর্যন্ত এবং বিয়ে না করা পর্যন্ত বিছানায় যাবে না।
তারপর থেকেই পিরিয়ডের কথা বলে আসছিলেন ওই নারী। বিষয়টি এখন উগান্ডার গোয়েন্দা বাহিনী তদন্ত করে দেখছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।