জুমবাংলা ডেস্ক : বরগুনার আমতলী সদর ইউনিয়নে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানো এক শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী (৩৫) মা হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছেলে সন্তান প্রসব করেন তিনি।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করা ওই ব্যক্তির নাম আল আমিন হাওলাদার (৩৫)। তিনি ওই নারীর মামাতো ভাই। এ ঘটনায় আমতলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আল আমিনকে খুঁজছে পুলিশ।
আমতলী থানায় গত ১ মে দায়ের হওয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ১০/১১ বছর বয়সে অসুস্থ হয়ে শরীরের বাম পাশ অকার্যকর হয়ে যায় ভুক্তভোগীর। আমতলীর মহিষডাঙ্গা গ্রামে তার নানাবাড়ি হওয়ায় প্রায়ই তিনি একা সেখানে তার মামাতো বোন আমেনা বেগমের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। এ সময় তার মামাতো ভাই আল আমিন হাওলাদার কয়েকবার তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। রাজি না হওয়ায় গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন আল আমিন।
গত ৯ মাস আগে সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী। এ সময় বিষয়টি তার পরিবারের লোকজন জানতে পারে। পরে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন মৃধার কাছে বিষয়টি জানিয়ে বিচার দাবি করেন তারা। তিনি আল আমিনকে ডেকে ফয়সালা করিয়ে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু তা না হওয়ায় গত ১ মে আল আমিন হাওলাদারসহ দুজনকে আসামি করে আমতলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন ধর্ষণের শিকার নারীর বোন।
ভুক্তভোগীর বোন বলেন, ‘হঠাৎ অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার লক্ষণ দেখে আমতলী গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। জানা যায়, তার বোন আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পুরো ঘটনা জানার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানকে জানাই। থানায় ধর্ষক আল আমিন ও তার সহযোগী আবুল বাশার প্যাদাকে আসামি করে একটি অভিযোগ দাখিল করেছি। এরপর থেকে অভিযুক্তরা আপস মীমাংসার প্রস্তাব দিয়ে ঘোরাচ্ছে।’
ধর্ষণের শিকার নারী জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আল আমিন তার সঙ্গে কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। এসব কথা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছেন। তিনি ভয়ে কাউকে কিছু জানাননি। তিনি তার সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবি করছেন।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে আল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘আমার ফুফুদের সাথে আমাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ২০১৯ সালে আদালতে বিরোধীয় জমির রায় আমাদের পক্ষে আসায় ও সেই জমি দখলে নিতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ধর্ষণের ঘটনার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
আমতলী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘শুনেছি গতকাল সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার হওয়া শারীরিক প্রতিবন্ধী ওই নারী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। আমরা বিষয়টা সমাধান করতে চেয়েছিলাম।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনাটি অনেক পুরোনো, তাই সত্যতা যাচাইয়ে প্রাথমিক তদন্ত করার জন্য থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আল আমিনকেও খুঁজছে পুলিশ।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।