জুমবাংলা ডেস্ক: দিনাজপুরে বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন করে তা দোগাছি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আমন চাষিরা। দোগাছি তৈরি হলে তা আবার জমিতে রোপণ করবেন তারা।
চলতি মৌসুমে জেলায় এবার ২ লাখ ৬০ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
জেলার ১৩টি উপজেলায় শুরু হয়েছে বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন। এসব চারা কৃষক দোগাছি করছেন। বীজতলার চারা বয়স হয়েছে প্রায় এক মাস। ভাল ফলনের আশায় চারাগুলো আবার অন্য জমিতে লাগানো হয়, একেই দোগাছি বলা হয়। দোগাছি চারাগুলো আরও ১০ থেকে ১২ দিন ঐ জমিতে রাখা হবে। পরে তা তুলে মূল জমিতে রোপণ করা হবে। আবার অনেক কৃষক বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন করেই জমিতে রোপণ করবেন।
এবার চলতি আমন মৌসুমে জমিতে রয়েছে পর্যাপ্ত বৃষ্টির পানি। গত মৌসুমে দেখা দিয়েছিলো বৃষ্টির পানির অভাব। কেননা আমন ধানের চাষ নির্ভর করে বর্ষার পানি উপর। ক’দিনের টানা বর্ষণে পানি জমেছে আমন ক্ষেতে। দেখা যায়, অনেক মাঠে আমন চাষের জন্য জমি তৈরি করতে শুরু করেছেন কৃষক। তবে আরও ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সব কৃষক জমি তৈরি করতে শুরু করবেন।
হাকিমপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক হাফিজুল রহমান বলেন, এবার ১৮ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করবো। বীজতলা থেকে চারা তুলছি এগুলো দোগাছি করবো। ১০ থেকে ১২ দিন পর জমি তৈরি করবো। তার পর জমিতে দোগাছি চারা রোপণ করবো।
কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, গত বোরো ধানের দাম ভাল পাইছি। তাই এই বার সব জমিতে আমন ধানের চাষ করবো। বীজতলা থেকে চারা তুলছি দোগাছি করবো।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, এবার হাকিমপুর উপজেলায় ৮ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষক দোগাছির জন্য বীজতলা থেকে চারা স্থানান্তর করছেন। আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে আমন ধানের চাষ শুরু করবেন কৃষক। উপজেলায় ৫২০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ধান বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় এবার ২ লাখ ৬০ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। গত আমন এবং বোরো মৌসুমে ধানের মূল্য ভাল পাওয়ায় কৃষকেরা আরও বেশি আমন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।এবার আমরা জেলার ১৩ টি উপজেলায় ২৪ হাজার কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ধান বীজ ও সার বিতরণ করেছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।