Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home বুক ধড়ফড় করার কারণ ও সমাধান:জানুন ও মুক্তি পান
    লাইফস্টাইল ডেস্ক
    লাইফস্টাইল

    বুক ধড়ফড় করার কারণ ও সমাধান:জানুন ও মুক্তি পান

    লাইফস্টাইল ডেস্কMd EliasJuly 15, 202512 Mins Read
    Advertisement

    সকাল নয়টা। ঢাকার গুলশান অফিসের এক ব্যস্ত মিটিং রুম। তাসনিমা আপা প্রেজেন্টেশন দিচ্ছিলেন, হঠাৎ থেমে গেলেন। গলায় হাত রাখলেন। কপালে জমা হলো ঘামের বিন্দু। বুকের ভেতরটা যেন কেউ ধরে ঝাঁকি দিচ্ছে – ‘ধড়ফড়’, ‘টকটক’, ‘লাফালাফি’। সবাই তাকিয়ে। ভয়ে, লজ্জায় মুখ লাল। পরের মুহূর্তেই চিন্তা – ‘হার্ট অ্যাটাক নাকি?’… তাসনিমা আপার মতো প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই তীব্র, ভীতিকর অনুভূতির সম্মুখীন হন। বুক ধড়ফড় বা পালপিটেশন শুধু শারীরিক অস্বস্তিই তৈরি করে না, মনে ঢুকিয়ে দেয় তীব্র উদ্বেগের বীজ। কিন্তু জানেন কি? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ‘ধড়ফড়ানি’ মারাত্মক কোনো রোগের লক্ষণ নয়! তবে কেন হয়? কখন সতর্ক হবেন? আর কীভাবেই বা এই অবাঞ্ছিত অতিথিকে বিদায় জানাবেন? আসুন, বুক ধড়ফড় করার কারণ ও সমাধান নিয়ে গভীরে যাই – আপনার হৃদয়ের সেই অশান্ত ধ্বনিকে বোঝার চেষ্টা করি, যেন ভয় নয়, শান্তি ফিরে পেতে পারেন।

    বুক ধড়ফড় করার কারণ ও সমাধান

    বুক ধড়ফড় করার কারণ ও সমাধান: প্রথমেই জেনে নিন কেন হয় এই অনুভূতি

    বুক ধড়ফড় – এই শব্দটিই বলে দেয় অনুভূতিটা কেমন। স্বাভাবিক হৃদস্পন্দনের চেয়ে দ্রুত, অনিয়মিত, জোরে, বা অস্বস্তিকরভাবে নিজের হৃদস্পন্দন টের পাওয়া। মনে হতে পারে হৃদপিণ্ড:

    • অতিরিক্ত জোরে স্পন্দন করছে (থাম্বিং, পাউন্ডিং)
    • অনেক দ্রুত স্পন্দন করছে (রেসিং হার্ট)
    • কিছু স্পন্দন বাদ পড়ছে বা উল্টাপাল্টা করছে (স্কিপড বিটস, ফ্লাটার)
    • বুকে টোকা দিচ্ছে বা লাফাচ্ছে (ফ্লিপ-ফ্লপ সেনসেশন)

    কিন্তু কেন হয় এই ধড়ফড়ানি? এর পেছনে কারণগুলোকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়:

    শারীরিক কারণ: যখন শরীর নিজেই সংকেত দেয়

    1. জীবনযাপন ও অভ্যাসগত কারণ (Lifestyle Triggers):

      • অতিরিক্ত ক্যাফেইন: দিনে কয় কাপ চা/কফি? অতিরিক্ত ক্যাফেইন (চা, কফি, এনার্জি ড্রিঙ্ক, কোলা) সরাসরি হৃদস্পন্দন বাড়ায়। বাংলাদেশে চা-কফি সংস্কৃতি প্রবল, অনেকেই অজান্তেই সীমা ছাড়িয়ে যান।
      • নিকোটিন: সিগারেট, জর্দা, তামাক – এগুলোর নিকোটিন উত্তেজক, হৃদস্পন্দন দ্রুত করে।
      • অ্যালকোহল: মদ্যপান, বিশেষ করে অতিরিক্ত মাত্রায়, হৃদস্পন্দন অনিয়মিত করে দিতে পারে (‘হলিডে হার্ট সিনড্রোম’)।
      • অতিরিক্ত বা ভারী খাবার: বিশেষ করে তেল-চর্বিযুক্ত, মসলাদার খাবার বা বেশি মিষ্টি খাওয়ার পর হজমের চাপে বুক ধড়ফড় করতে পারে।
      • ডিহাইড্রেশন: পর্যাপ্ত পানি পান না করলে রক্তের আয়তন কমে যায়, হৃদপিণ্ডকে বেশি কাজ করতে হয়।
      • অতিরিক্ত ব্যায়াম বা পরিশ্রম: হঠাৎ করে খুব জোরে ব্যায়াম করলে স্বাভাবিকভাবেই হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, যা কখনো কখনো ধড়ফড় হিসেবে অনুভূত হতে পারে।
      • ঘুমের অভাব: ক্রনিক অনিদ্রা বা পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া শরীরে স্ট্রেস হরমোন (কর্টিসল) বাড়ায়, যা হৃদস্পন্দনকে প্রভাবিত করে।
    2. মানসিক ও আবেগগত কারণ (Psychological & Emotional Triggers):

      • উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা (Anxiety & Worry): এটিই বুক ধড়ফড়ের সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলোর একটি। উদ্বেগের সময় শরীর ‘ফাইট অর ফ্লাইট’ মোডে চলে যায় – অ্যাড্রেনালিন নিঃসরণ হয়, হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ বেড়ে যায়, শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত হয়। প্যানিক অ্যাটাকের সময় তো এই ধড়ফড়ানি তীব্রতম রূপ নিতে পারে। ঢাকা, চট্টগ্রামের মতো ব্যস্ত শহরে কাজের চাপ, ট্রাফিক জ্যাম, আর্থিক চিন্তা – এসব উদ্বেগের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
      • স্ট্রেস (Stress): দীর্ঘমেয়াদি কাজের চাপ, পারিবারিক সমস্যা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা – এই ক্রনিক স্ট্রেসও নিয়মিত ধড়ফড়ানির কারণ হতে পারে।
      • ভয় বা আতঙ্ক (Fear): কোনো ভীতিকর ঘটনা বা চিন্তার সম্মুখীন হলে হঠাৎ করে হৃদস্পন্দন দ্রুত হয়ে যায়।
      • উত্তেজনা (Excitement): খুশির উত্তেজনাও কখনো কখনো হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দিতে পারে, যদিও এটা সাধারণত বিপজ্জনক নয়।
    3. হরমোনগত পরিবর্তন (Hormonal Fluctuations):

      • মাসিক ঋতুচক্র (Menstrual Cycle): পিরিয়ডের আগে, সময়ে বা পরে কিছু মহিলার হরমোনের ওঠানামার কারণে বুক ধড়ফড় অনুভব করতে পারেন।
      • গর্ভাবস্থা (Pregnancy): গর্ভাবস্থায় রক্তের পরিমাণ বেড়ে যায়, হৃদপিণ্ডকে বেশি পাম্প করতে হয়। এছাড়া হরমোনের পরিবর্তনও ভূমিকা রাখে। গর্ভাবস্থায় মাঝেমধ্যে হালকা ধড়ফড় স্বাভাবিক, তবে ঘনঘন বা তীব্র হলে ডাক্তার দেখানো জরুরি।
      • মেনোপজ (Menopause): মেনোপজের সময় ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা কমে যায়, যা হট ফ্লাশের পাশাপাশি বুক ধড়ফড়ের কারণ হতে পারে।
    4. ওষুধ ও সাপ্লিমেন্টের প্রভাব (Medications & Supplements):

      • কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: হাঁপানির ওষুধ (স্যালবুটামল ইনহেলার), ঠাণ্ডা-কাশির ওষুধ (সিউডোএফেড্রিন), থাইরয়েড ওষুধ, কিছু অ্যান্টিবায়োটিক, এমনকি কিছু হার্টের ওষুধও (যেমন ডাইগোক্সিন) ধড়ফড়ানির কারণ হতে পারে।
      • হার্বাল সাপ্লিমেন্ট: কিছু হার্বাল সাপ্লিমেন্ট (যেমন এফেড্রা, জিনসেং, ভ্যালেরিয়ান রুট – মানসম্মত না হলে) হৃদস্পন্দনে প্রভাব ফেলতে পারে।
      • উত্তেজক পদার্থ: কোকেইন, অ্যাম্ফিটামিনের মতো ড্রাগস হৃদস্পন্দনকে বিপজ্জনক মাত্রায় বাড়িয়ে দেয়।
    5. চিকিৎসাগত অবস্থা (Medical Conditions): কিছু ক্ষেত্রে বুক ধড়ফড় গুরুতর হৃদরোগ বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যার লক্ষণ হতে পারে:
      • হৃদরোগ (Heart Conditions):
        • অ্যারিদমিয়া (Arrhythmias): হৃদস্পন্দনের গতি বা ছন্দে অস্বাভাবিকতা। যেমন:
          • অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন (AFib – অনিয়মিত ও দ্রুত স্পন্দন)
          • সুপ্রাভেন্ট্রিকুলার ট্যাকিকার্ডিয়া (SVT – হঠাৎ খুব দ্রুত স্পন্দন)
          • ভেন্ট্রিকুলার ট্যাকিকার্ডিয়া (VT – আরও বিপজ্জনক দ্রুত স্পন্দন)
          • এক্সট্রা সিস্টোলস (প্রিম্যাচিউর বিটস – হৃদস্পন্দনে ছেদ)
        • করোনারি আর্টারি ডিজিজ (CAD): হৃদপিণ্ডে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীতে ব্লকেজ।
        • হার্ট ভালভের সমস্যা (Heart Valve Problems): যেমন মাইট্রাল ভালভ প্রোল্যাপ্স (MVP)।
        • হার্ট ফেইলিউর (Heart Failure): হৃদপিণ্ড দুর্বল হয়ে পড়লে।
        • জন্মগত হৃদরোগ (Congenital Heart Defects)।
      • রক্তশূন্যতা (Anemia): রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে হৃদপিণ্ডকে শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছানোর জন্য বেশি পাম্প করতে হয়, ফলে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। বাংলাদেশে, বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের মধ্যে রক্তশূন্যতা খুবই সাধারণ (বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে (BDHS) অনুযায়ী প্রায় ৪২% মহিলা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন)।
      • থাইরয়েড সমস্যা (Thyroid Disorders):
        • হাইপারথাইরয়েডিজম (Hyperthyroidism – থাইরয়েড হরমোনের আধিক্য): শরীরের মেটাবলিজম অতিরিক্ত বেড়ে যায়, হৃদস্পন্দন দ্রুত ও অনিয়মিত হতে পারে।
        • হাইপোথাইরয়েডিজম (Hypothyroidism – থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি): কখনো কখনো হৃদস্পন্দন কমে যাওয়ার পাশাপাশি অনিয়মিত হৃদস্পন্দনও হতে পারে।
      • নিম্ন রক্তচাপ (Low Blood Pressure – Hypotension): রক্তচাপ হঠাৎ কমে গেলে হৃদপিণ্ড দ্রুত স্পন্দন করে রক্তচাপ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে।
      • জ্বর (Fever): শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে হৃদস্পন্দন দ্রুত হয়।
      • রক্তে শর্করার কমতি (Low Blood Sugar – Hypoglycemia): ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন বা ওষুধের কারণে রক্তে শর্করা হঠাৎ কমে গেলে।
      • ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালান্স (Electrolyte Imbalance): রক্তে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদির ভারসাম্যহীনতা হৃদস্পন্দনের ছন্দকে বিঘ্নিত করতে পারে (যেমন ডায়রিয়া বা বমির পরে)।
      • ফিওক্রোমোসাইটোমা (Pheochromocytoma): অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির একটি বিরল টিউমার যা অতিরিক্ত অ্যাড্রেনালিন উৎপন্ন করে, হঠাৎ তীব্র ধড়ফড়, মাথাব্যথা ও উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি করে।

    বুক ধড়ফড় থেকে মুক্তি পেতে কার্যকর সমাধান: জীবনযাপনে পরিবর্তন থেকে চিকিৎসা

    বুক ধড়ফড় হওয়া মানেই যে হার্ট অ্যাটাক, তা কিন্তু নয়! বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভয়ের কিছু নেই। তবে, কারণ বুঝে সঠিক পদক্ষেপ নিলেই এই অশান্তি থেকে মুক্তি মিলতে পারে।

    কখন অবশ্যই ডাক্তার দেখাবেন? (Red Flags – বিপদ সংকেত)

    নিচের লক্ষণগুলো থাকলে অবিলম্বে নিকটস্থ হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে যান বা কার্ডিওলজিস্টের পরামর্শ নিন:

    • বুক ধড়ফড়ের সাথে তীব্র বুক ব্যথা, চাপ বা চাপাচাপি ভাব।
    • অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা প্রায় অজ্ঞান হওয়ার মতো অনুভূতি (সিঙ্কোপ বা প্রি-সিঙ্কোপ)।
    • অস্বাভাবিকভাবে দ্রুত বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দন (প্রতি মিনিটে ১২০-১৪০ এর বেশি), বিশেষ করে বিশ্রামে থাকা অবস্থায়।
    • শ্বাসকষ্ট (সিঁড়ি ভাঙতে বা সামান্য হাঁটতেই কষ্ট হওয়া)।
    • মাথা ঘোরা, ঝিমঝিম করা বা দুর্বল লাগা।
    • আপনার আগে থেকে হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা অন্য কোনো গুরুতর অসুখ থাকলে।
    • ধড়ফড়ানি হঠাৎ শুরু হয়ে দীর্ঘক্ষণ (কয়েক মিনিটের বেশি) স্থায়ী হলে বা বারবার হলে।

    ডায়াগনোসিস: কীভাবে কারণ খুঁজে বের করবেন?

    ডাক্তার আপনার বিস্তারিত ইতিহাস জিজ্ঞাসা করবেন (লক্ষণ, মেডিকেল হিস্ট্রি, ওষুধ, লাইফস্টাইল)। এরপর কিছু টেস্ট করাতে পারেন:

    1. শারীরিক পরীক্ষা: পালস, ব্লাড প্রেশার, হার্ট ও ফুসফুস শোনা।
    2. ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ECG বা EKG): হৃদস্পন্দনের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ রেকর্ড করে। ধড়ফড়ানি চলাকালীন ECG নিলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়। অনেক সময় হোল্টার মনিটরিং (২৪-৪৮ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে পরা যায় এমন পোর্টেবল ECG ডিভাইস) লাগানো হতে পারে।
    3. ইকোকার্ডিওগ্রাম (Echo): আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে হৃদপিণ্ডের গঠন ও কার্যকারিতা দেখা।
    4. ব্লাড টেস্ট: রক্তশূন্যতা, থাইরয়েড ফাংশন, ইলেক্ট্রোলাইট লেভেল, হার্টের এনজাইম (হার্ট অ্যাটাক আছে কিনা দেখার জন্য) চেক করা।
    5. স্ট্রেস টেস্ট (ট্রেডমিল টেস্ট): ব্যায়ামের সময় হৃদপিণ্ডের কর্মক্ষমতা দেখা।
    6. ইভেন্ট মনিটর বা লুপ রেকর্ডার: খুব কম ঘটা ধড়ফড়ানির জন্য দীর্ঘমেয়াদী মনিটরিং ডিভাইস।

    বুক ধড়ফড় কমানোর ঘরোয়া ও চিকিৎসা সমাধান

    সমাধান নির্ভর করবে মূল কারণের ওপর:

    1. জীবনযাত্রায় পরিবর্তন (Lifestyle Modifications – প্রাথমিক ও প্রায়শই সবচেয়ে কার্যকর সমাধান):

      • ট্রিগার চিহ্নিত করুন ও এড়িয়ে চলুন: কোন কোন পরিস্থিতি, খাবার বা পানীয় (ক্যাফেইন, অ্যালকোহল, ধূমপান) বা আবেগ (স্ট্রেস, উদ্বেগ) আপনার ধড়ফড়ানি বাড়ায়? ডায়েরি রাখুন। সেগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
      • স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট ও রিলাক্সেশন টেকনিক:
        • গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম (Deep Breathing): সোজা হয়ে বসুন বা শুয়ে পড়ুন। নাকে দিয়ে ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন (৪ সেকেন্ড ধরে), শ্বাস আটকে রাখুন (৪ সেকেন্ড), মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে সব শ্বাস ছাড়ুন (৬ সেকেন্ড)। ৫-১০ বার করুন। এটা ‘ফাইট অর ফ্লাইট’ রেসপন্সকে শান্ত করে। (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টে এটির কার্যকারিতা উল্লেখ করেছে)।
        • মেডিটেশন ও মাইন্ডফুলনেস: প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট মেডিটেশন উদ্বেগ কমাতে এবং হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। Headspace বা Calm-এর মতো অ্যাপগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
        • ইয়োগা ও টাই চি: শরীর ও মনকে শান্ত করে, শ্বাসপ্রশ্বাস ও হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
        • প্রোগ্রেসিভ মাসল রিলাক্সেশন (PMR): শরীরের বিভিন্ন পেশী গ্রুপকে কয়েক সেকেন্ড চেপে ধরে তারপর শিথিল করার পদ্ধতি। উদ্বেগ ও শারীরিক টেনশন কমাতে খুব কার্যকর।
      • নিয়মিত ব্যায়াম: হাঁটা, সাঁতার, সাইকেল চালানো – এগুলো হার্টকে শক্তিশালী করে এবং স্ট্রেস কমায়। তবে, হঠাৎ করে খুব জোরে ব্যায়াম শুরু করবেন না। ধীরে ধীরে বাড়ান। ব্যায়ামের আগে ওয়ার্ম আপ এবং পরে কুল ডাউন করাটা জরুরি।
      • সুষম খাদ্যাভ্যাস:
        • প্রচুর শাকসবজি, ফল, গোটা শস্য, লিন প্রোটিন (মাছ, মুরগি, ডাল) খান।
        • লবণ (সোডিয়াম) কম খান (উচ্চ রক্তচাপ রোধে)।
        • প্রক্রিয়াজাত খাবার, অতিরিক্ত তেল-চর্বি ও মিষ্টি এড়িয়ে চলুন।
        • পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
        • খুব বেশি একবারে না খেয়ে অল্প অল্প করে বারবার খান।
      • পর্যাপ্ত ও গুণগত ঘুম: রোজ ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ঘুমের সময় ও পরিবেশ ঠিক রাখুন।
      • ধূমপান ও তামাক সেবন বন্ধ করুন: এটা হার্টের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর অভ্যাসগুলোর একটি।
      • অ্যালকোহল সীমিত করুন বা বাদ দিন।
      • ক্যাফেইন গ্রহণ কমানো বা বাদ দেওয়া: যদি ক্যাফেইন ট্রিগার হয়, চা-কফি-কোলা-এনার্জি ড্রিঙ্কস বাদ দিন বা খুব সীমিত করুন। গ্রিন টি বা হার্বাল টি বেছে নিতে পারেন।
    2. মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন (Addressing Psychological Causes):

      • কাউন্সেলিং বা সাইকোথেরাপি: যদি উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা বা স্ট্রেস ধড়ফড়ানির প্রধান কারণ হয়, তাহলে কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি (CBT) বা অন্যান্য থেরাপি খুব কার্যকর হতে পারে। ঢাকা বা বিভাগীয় শহরের মানসিক স্বাস্থ্য ক্লিনিক বা মনোবিদদের পরামর্শ নিন।
      • মেডিকেশন: গুরুতর উদ্বেগ বা প্যানিক ডিসঅর্ডারের জন্য ডাক্তার অ্যান্টি-অ্যাংজাইটি বা অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট ওষুধ দিতে পারেন। কখনোই নিজে নিজে ওষুধ খাবেন না।
    3. চিকিৎসাগত হস্তক্ষেপ (Medical Interventions):
      • অন্তর্নিহিত অসুখের চিকিৎসা: যদি রক্তশূন্যতা, থাইরয়েড সমস্যা, ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালান্স বা অন্য কোনো শারীরিক অসুখ পাওয়া যায়, সেটির সঠিক চিকিৎসা করালেই ধড়ফড়ানি সেরে যাবে।
      • হার্টের অসুখের চিকিৎসা: অ্যারিদমিয়া বা অন্যান্য হৃদরোগ ধরা পড়লে, ডাক্তার প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধ (যেমন বিটা-ব্লকার, ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার, অ্যান্টি-অ্যারিদমিক ড্রাগস), কার্ডিয়াক অ্যাবলেশন (একটি ক্যাথেটার পদ্ধতি যার মাধ্যমে অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের উৎসকে নিষ্ক্রিয় করা হয়), পেসমেকার বা আইসিডি (ইমপ্লান্টেবল কার্ডিওভার্টার-ডিফিব্রিলেটর) ইমপ্লান্টেশনের পরামর্শ দিতে পারেন।
      • ওষুধ পরিবর্তন: যদি বর্তমান কোনো ওষুধ ধড়ফড়ানির কারণ হয়, ডাক্তার বিকল্প ওষুধ দিতে পারেন বা ডোজ সামঞ্জস্য করতে পারেন।

    সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা: আপনার শরীরের সংকেতকে অবহেলা করবেন না, তবে অযথা আতঙ্কিতও হবেন না। বুক ধড়ফড় হওয়া মানেই হার্ট অ্যাটাক নয়। বেশিরভাগ সময়েই এর পেছনে লুকিয়ে থাকে আমাদের ব্যস্ত, উদ্বেগপূর্ণ জীবনযাত্রা বা সহজে সমাধানযোগ্য শারীরিক কারণ। তবে, বিপদ সংকেতগুলো (লাল পতাকা) চিনে রাখুন এবং সেগুলো দেখা দিলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন। আপনার হৃদয়ের সেই ‘ধড়ফড়’ শব্দটিই হতে পারে আপনার জন্য একটি জরুরি অনুস্মারক – নিজের স্বাস্থ্য, নিজের মানসিক শান্তির দিকে খেয়াল দেওয়ার। আজই শুরু করুন, জীবনযাপনে ছোট ছোট ইতিবাচক পরিবর্তন আনুন, স্ট্রেস মোকাবিলার কৌশল রপ্ত করুন। মনে রাখবেন, বুক ধড়ফড় থেকে মুক্তি শুধু শারীরিক স্বস্তিই ফিরিয়ে আনে না, ফিরিয়ে আনে সেই অমূল্য প্রশান্তি, যে প্রশান্তি আপনাকে জীবনের প্রতিটি ধাপে সাহস ও উদ্যমের সাথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আপনার হৃদয়ের যত্ন নিন, আজই একজন চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন এবং নিশ্চিন্ত হোন।

    জেনে রাখুন (FAQs)

    1. প্রশ্ন: বুক ধড়ফড় করলে কি আমার হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে?
      উত্তর: না, সবসময় নয়। বুক ধড়ফড়ানির অনেক কারণের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক একটি সম্ভাব্য কিন্তু তুলনামূলকভাবে কম সাধারণ কারণ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উদ্বেগ, স্ট্রেস, ক্যাফেইন, বা অন্যান্য সহজে নিয়ন্ত্রণযোগ্য কারণ দায়ী থাকে। তবে, যদি ধড়ফড়ানির সাথে তীব্র বুক ব্যথা/চাপ, শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, ঠাণ্ডা ঘাম বা বাম হাতে/গলায়/চোয়ালে ব্যথা হয়, তাহলে অবিলম্বে জরুরি চিকিৎসা সেবা (হাসপাতালের ইমার্জেন্সি) নিন।

    2. প্রশ্ন: রাতে শুয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ বুক ধড়ফড় করে ওঠে, ঘুম ভেঙে যায় – এর কারণ কী?
      উত্তর: রাতে হঠাৎ করে বুক ধড়ফড়ানি (নক্টার্নাল পালপিটেশন) বেশ সাধারণ। এর সম্ভাব্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে:

      • অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: রাতে ভারী, মসলাদার বা চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া।
      • অ্যালকোহল বা ক্যাফেইন: রাতে অ্যালকোহল পান বা বিকেল/রাতে ক্যাফেইন গ্রহণ।
      • অ্যাংজাইটি বা স্ট্রেস: দিনের উদ্বেগ রাতে শুয়ে ভাবলে বা দুঃস্বপ্নের কারণে।
      • ডিহাইড্রেশন: পর্যাপ্ত পানি পান না করা।
      • অ্যাপনিয়া: স্লিপ অ্যাপনিয়ার সময় শ্বাস বন্ধ হলে শরীরে অক্সিজেন কমে যায়, হৃদস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে।
      • কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
      • অ্যারিদমিয়া: কিছু ধরনের অনিয়মিত হৃদস্পন্দন রাতে প্রকট হতে পারে।
        ঘনঘন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
    3. প্রশ্ন: গর্ভাবস্থায় বুক ধড়ফড় করা কি স্বাভাবিক? কখন চিন্তিত হবো?
      উত্তর: হ্যাঁ, গর্ভাবস্থায় হালকা থেকে মাঝারি মাত্রায় মাঝেমধ্যে বুক ধড়ফড় করা একটি সাধারণ ঘটনা। এর কারণ:

      • রক্তের পরিমাণ প্রায় ৫০% বেড়ে যায়, হৃদপিণ্ডকে বেশি কাজ করতে হয়।
      • হরমোনের পরিবর্তন (প্রোজেস্টেরন)।
      • জরায়ুর চাপ।
      • উদ্বেগ বা মানসিক চাপ।
        তবে, নিচের লক্ষণ থাকলে অবশ্যই ডাক্তারকে জানান:
      • খুব ঘনঘন বা দীর্ঘক্ষণ ধরে ধড়ফড়ানি।
      • শ্বাসকষ্ট (সাধারণ কাজ করতেও কষ্ট হলে)।
      • বুকে ব্যথা বা চাপ।
      • মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি।
      • কাশির সাথে রক্ত যাওয়া।
    4. প্রশ্ন: বুক ধড়ফড় করার সময় পালস বা নাড়ি কিভাবে পরীক্ষা করব?
      উত্তর: নিজের পালস মাপা সহজ:

      1. এক হাতের তর্জনি ও মধ্যমা আঙ্গুল অন্য হাতের কব্জির থাম্বের নিচের দিকে (ব্রেসলেটের কাছাকাছি) রাখুন।
      2. হালকা চাপ দিয়ে আঙ্গুলের ডগায় নাড়ির স্পন্দন টের পাবেন।
      3. ঘড়ি বা স্টপওয়াচ ধরে ৩০ সেকেন্ড ধরে স্পন্দন সংখ্যা গুনুন। তারপর সেই সংখ্যাকে ২ দিয়ে গুণ করুন (অথবা সরাসরি ৬০ সেকেন্ড গুনুন)।
      4. শুধু হার্ট রেট (প্রতি মিনিটে কত স্পন্দন) নয়, লক্ষ্য করুন স্পন্দন নিয়মিত (সমান ব্যবধানে) নাকি অনিয়মিত (কিছু স্পন্দন বাদ পড়ছে, দ্রুত-ধীর হচ্ছে)? অনিয়মিততা থাকলে ডাক্তারকে জানান।
        মোবাইল অ্যাপ বা স্মার্টওয়াচের হৃদস্পন্দন মাপার ফিচারও ব্যবহার করতে পারেন, তবে ডাক্তারি পরীক্ষার বিকল্প নয়।
    5. প্রশ্ন: বুক ধড়ফড়ানি দূর করতে কি কোনো ঘরোয়া উপায় আছে?
      উত্তর: হ্যাঁ, অনেক সময় সরল কিছু কৌশলে ধড়ফড়ানি কমে যেতে পারে। এগুলো মূলত ভেগাল ম্যানুভার, যা ভেগাস নার্ভকে উদ্দীপিত করে হৃদস্পন্দন ধীর করতে সাহায্য করে। চেষ্টা করে দেখুন:

      • গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস: উপরে বর্ণিত ৪-৪-৬ পদ্ধতি।
      • ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা: মুখে ও চোখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিন বা একটি তোয়ালে ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে মুখে চেপে ধরুন। ‘ডাইভ রিফ্লেক্স’ কাজ করে।
      • ভ্যালসালভা ম্যানুভার: নাক বন্ধ করে মুখ বন্ধ রেখে (যেন নিঃশ্বাস বের না হয়) হালকাভাবে শ্বাস বের করার চেষ্টা করুন (প্রসবের সময় যেমন চাপ দেন) – ১০-১৫ সেকেন্ড ধরে। সাবধান: উচ্চ রক্তচাপ বা হার্টের সমস্যা থাকলে এটি করবেন না।
      • কাশি দেওয়া: জোরে জোরে কাশি দিন কয়েকবার।
      • এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি: ধীরে ধীরে পান করুন।
        মনে রাখুন: এই পদ্ধতিগুলো সাধারণত সুপ্রাভেন্ট্রিকুলার ট্যাকিকার্ডিয়া (SVT) ধরনের অ্যারিদমিয়ায় কিছুটা কাজ করতে পারে। যদি বারবার ধড়ফড়ানি হয় বা উপরের পদ্ধতিগুলো কাজ না করে, ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
    6. প্রশ্ন: বুক ধড়ফড় করলে কি হার্টের ডাক্তার (কার্ডিওলজিস্ট) এর কাছে যেতে হবে, নাকি সাধারণ চিকিৎসকই যথেষ্ট?
      উত্তর: প্রথম ধাপে সাধারণ চিকিৎসক (জিপি বা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ) এর কাছেই যেতে পারেন। তিনি প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কারণ বোঝার চেষ্টা করবেন। যদি তিনি মনে করেন:

      • হৃদরোগের লক্ষণ আছে (বিপদ সংকেত থাকলে)।
      • ECG বা অন্যান্য পরীক্ষায় অস্বাভাবিকতা পাওয়া গেছে।
      • জীবনযাপনে পরিবর্তনেও ধড়ফড়ানি কমছে না এবং তিনি হৃদরোগ সন্দেহ করেন।
        তাহলে তিনি আপনাকে কার্ডিওলজিস্টের কাছে রেফার করবেন। প্রাথমিকভাবে সাধারণ চিকিৎসক দিয়েই শুরু করা যায়।

    ⚠️ ডিসক্লেইমার: এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে এবং এটি কোনও চিকিৎসা পরামর্শ বা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। আপনার কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা বা লক্ষণ থাকলে, নিজে নিজে চিকিৎসা না করে সরাসরি একজন যোগ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। লেখকের বা প্রকাশকের কোনো দায়িত্ব গ্রহণ করা হবে না।


    SEO Title: বুক ধড়ফড় করার কারণ ও সমাধান: চিন্তা নয়, জেনে নিন মুক্তির উপায় | হৃদয়ের অশান্তি দূর করুন

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘ও করার কারণ ধড়ফড় পান বুক বুক ধড়ফড় করার কারণ ও সমাধান মুক্তি লাইফস্টাইল সমাধান:জানুন
    Related Posts
    আধুনিক প্রযুক্তির উপকারিতা

    আধুনিক প্রযুক্তির উপকারিতা: জীবন বদলে দিন সহজেই

    July 15, 2025
    নামাজের সময়সূচি সঠিকভাবে জানা কেন জরুরী

    নামাজের সময়সূচি সঠিকভাবে জানা কেন জরুরী?

    July 15, 2025
    জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো এর আপডেট

    জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো এর আপডেট:সবচেয়ে আলোচিত মুহূর্ত!

    July 15, 2025
    সর্বশেষ খবর
    এনবিআর

    বদলির আদেশ ছিঁড়ে ফেলে প্রতিবাদ করায় ১৪ এনবিআর কর্মকর্তা বরখাস্ত

    image

    জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-ইউনিসেফ চুক্তি সই

    Arm

    দ্বিগুণ হলো লাইসেন্স ফি, চাইলেই মিলবে না অস্ত্র

    তিস্তা

    অনুমোদন পেলেই তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

    image-5

    ব্রিতে দীর্ঘমেয়াদি ফসফরাস ব্যবস্থাপনা নিয়ে আন্তর্জাতিক কর্মশালা

    Google Pixel Fold 4

    Google Pixel Fold 4: Price in Bangladesh & India with Full Specifications

    image

    ধীরাশ্রমে শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার

    How to Start a Personal Finance YouTube Channel

    How to Start a Personal Finance YouTube Channel

    Samsung Galaxy S23

    Samsung Galaxy S23: Price in Bangladesh & India with Full Specifications

    ChatGPT: Top AI Productivity Tool for Streamlined Creator Workflows

    ChatGPT: Top AI Productivity Tool for Streamlined Creator Workflows

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.