জুমবাংলা ডেস্ক : বর্ষাকাল শেষে ভাদ্র মাসেও অনাবৃষ্টি ও দাবদাহ। টানা খরা। বৃষ্টির জন্য হাহাকার চারদিকে। আমনের ফসলি জমি শুকিয়ে গেছে। ফলে আমন আবাদ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এসব থেকে মুক্তি পেতে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ইস্তিসকার নামাজ ও দোয়ার আয়োজন করে উপজেলা উলামা সমিতি।
রবিবার (২১ আগস্ট) সকাল ১০টা উপজেলার পৌর শহরে ইমামবাড়ী মাঠে, টাংগাব ইউনিয়নে ইসমাঈল হাজি বালিকা দাখিল মাদরাসা মাঠে ও গফরগাঁও ইউনিয়নে আল্লামা আব্দুল আলীম আলহোসাইনী কমপ্লেক্স মাদরাসা মাঠে এই নামাজ আদায় করেন আলেম উলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন উপজেলার পরিষদের পেশ ইমাম মওলানা আনোয়ার হোছাইন আসাদী ও উপজেলা উলামা সমিতির সভাপতি মওলানা আজিজুর রহমান বৃষ্টি চেয়ে সালাতুল ইস্তিসকার এ নামাজে তিন স্থানে সহস্রাধিক ধর্মপ্রাণ মানুষ অংশ নেন। নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লি রুহুল আমিন জানান, প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠঘাট কৃষিজমি। তীব্র খরায় ফসল উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ।
নামাজ শেষে উপজেলার লংগাইর গ্রামের কৃষক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, চাষাবাদ করে আমাদের পেট চলে। কিন্তু এবার বৃষ্টি না হওয়ায় জমি শুকিয়ে গেছে। কোন কোন জায়গায় বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রোপা আমন ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। ধানের চারা গুলো রোদের তাপে পুড়ে যাচ্ছে। এখন চাষাবাদ করতে পারছি না। তাই আল্লাহর অশেষ রহমতের জন্য এ নামাজ আদায় করা হয়।
নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনাকারী মওলানা আনোয়ার হোছাইন আসাদী বলেন, এখন বর্ষা মৌসুম শেষ। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় হাহাকার চলছে। কৃষকরা চাষাবাদ করতে পারছেন না। এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে ও মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনসহ আনুগত্য প্রকাশে এই নামাজ আদায় ও দোয়া করা হয়। আল্লাহ যেন বাংলাদেশসহ বিশ্ববাশীর উপর রহমত নাজিল করেন, এটিই আমাদের উদ্দেশ্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।