Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home বৈষম্যমুক্ত হোক সমাজসেবা অধিদপ্তর
    মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার

    বৈষম্যমুক্ত হোক সমাজসেবা অধিদপ্তর

    November 10, 20247 Mins Read

    ড. আলা উদ্দিন : সরকারের যে বিভাগটি কয়েক দশক ধরে হতদরিদ্র মানুষদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার মহান ব্রত পালন করে আসছে, তা হলো সমাজসেবা অধিদপ্তর। গবেষণার সুবাদে এই বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবার লক্ষ্যগোষ্ঠী সমাজের হতদরিদ্র মানুষদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই বিভাগের সেবা ও প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে অবগত হয়েছি। দরিদ্র মানুষদের জন্য ঈপ্সিত সেবা নিশ্চিতকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ প্রদানের নিমিত্তে মূলত এই প্রয়াস।

    Advertisement

    নামের মতোই বিভাগটি মানবিক সহায়তার অন্যতম সরকারি স্তম্ভ। প্রান্তিক ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে, সমাজসেবা বিভাগের মাত্র ১২ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রায় দুই কোটি মানুষের জীবনমান পরিবর্তনের জন্য এক হাজারের বেশি অফিসের মাধ্যমে ৫৪ ধরনের সেবামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করছে। বিভাগটি দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিশু সুরক্ষা, বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা এবং এরূপ দুর্বল জনগোষ্ঠীর টিকে থাকার সংগ্রামে সরকারি সহায়ক সেবাপ্রদানের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের গুরুত্ব অনুধাবন করা যায় এর জন্য বাজেট বরাদ্দ ও এর কার্যবিধি থেকে। ১৪০টি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির মধ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করে ২৭টি। দেশের ২৭টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ এই সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে থাকে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সামাজিক সুরক্ষা খাতে মোট বরাদ্দ ছিল ১,৩৬,০২৬ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১৭.০৬ শতাংশ।

    সমাজসেবা অধিদপ্তরের ১২ হাজার কর্মচারীর মাধ্যমে ১০৯৭টি কার্যালয়ের মাধ্যমে ৫৪টি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে ১ কোটি ৯৭ লাখ উপকারভোগীকে সেবা প্রদান করছে, যা দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ১১ শতাংশ। এ দপ্তরের মোট উপকারভোগী প্রায় ৬৫ শতাংশ (১ কোটি ২৩ লাখ) বয়স্কভাতা ভোগী (৬০.০১ লাখ), বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা (২৭.৭৫ লাখ), সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও প্রতিবন্ধী ৩২.৩৪ লাখসহ হিজড়া, ভবঘুরে, নিরাশ্রয় ব্যক্তি, চা-শ্রমিক, অনগ্রসর ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত; যাদের এ২চ পদ্ধতিতে ভাতা, উপবৃত্তি ও অনুদান সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

    এ ছাড়া দারিদ্র্য বিমোচনে সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম, শিশু প্রবীণ ও নিরাশ্রয় ব্যক্তির সুরক্ষায় দক্ষতা উন্নয়নসহ প্রাতিষ্ঠানিক সেবা, সামাজিক অবক্ষয়রোধে প্রবেশন ও আফটার কেয়ার সার্ভিস এবং ৬টি দুরারোগ্য জটিল রোগীদের (ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত) এককালীন অনুদান (অর্ধলাখ টাকা) প্রদানসহ হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে দুস্থ রোগীদের জন্য বহুমুখী সেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়।

    তথাপি, এই গুরুত্বপূর্ণ মানবিক প্রতিষ্ঠানটি নিজেই অবহেলার শিকার হয়েছে। মাত্র ১২ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি মানুষের কাছে (অধিকাংশই প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা) সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজের চাপ, পদায়ন ও পদোন্নতির ধীরগতি, নিয়োগবিধির ব্যত্যয় ইত্যাদি এই সেবামূলক বিভাগের কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষের অন্যতম কারণ।

    ক্যাডারভুক্ত ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে অধিদপ্তরের পরিচালক নিয়োগের দাবিতে সাম্প্রতিক সময়ে এই বিভাগে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে, হতদরিদ্র ও অরক্ষিত মানুষ নিয়মিত সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছেন, অথচ তাদের বেশিরভাগের জীবন চলে এই বিভাগ থেকে প্রাপ্ত অনুদানের মাধ্যমে। তাছাড়া বিধিমতো কর্মকর্তাদের পদায়ন ও বদলি না হওয়ায়, এমনকি বিলম্বিত বদলির কারণেও বিভিন্ন অফিসে সেবামূলক কার্যক্রমে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে অতিদরিদ্র ও অভাবী মানুষ প্রত্যাশিত সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন।

    ১৯৬১ সালে সমাজ কল্যাণ বিভাগ হিসেবে এর সূচনা এবং পরবর্তীকালে ১৯৮৪ সালে সমাজসেবা বিভাগ এবং ১৯৮৯ সালে একটি পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রণালয়ে সংস্কারের পর থেকে, সমাজসেবা অধিদপ্তর গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা প্রদানে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। বিভাগটি বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং বিশেষ সম্প্রদায়ের জন্য বিভিন্ন ভাতা এবং সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করে।

    বিভাগটি এভাবে অতি সাধারণ মানুষদের, যাদের সরকারি সেবা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করাই এর প্রচেষ্টার লক্ষ্য। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অন্যান্য মাঠকর্মীসহ সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মীগণ এই মিশনের সামনের সারিতে রয়েছেন। তাদের শুধু সহায়তা প্রদানের দায়িত্ব দেওয়া হয় না, বরং তারা যে মানুষের পরিসেবা প্রদান করেন, তাদের জটিল চাহিদাসমূহ বোঝার এবং মোকাবিলা করার দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সাল থেকে, অনেক কর্মকর্তা দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলোকে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়েছেন এবং এই মহৎ উদ্দেশ্যের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতিকে আরও জোরদার করেছেন।

    সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ উদ্বেগজনক এবং বহুমুখী। সমাজসেবা বিভাগের কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে বেতন স্কেল এবং পদোন্নতির সুযোগ সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। একটি কাঠামোগত পদোন্নতি ব্যবস্থার অভাব এবং অপর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার সমন্বয় কর্মশক্তির মধ্যে হতাশা এবং হতাশার ক্রমবর্ধমান অনুভূতির দিকে পরিচালিত করেছে। সমাজসেবা অধিদপ্তর একটি ক্যাডারভিত্তিক বিভাগ নয়।

    এই অবস্থান এই বিভাগকে অন্যান্য সরকারি সংস্থা থেকে আলাদা করেছে, যা কর্মজীবনের মর্যাদা ও অগ্রগতি ব্যাহত হয়। একটি আনুষ্ঠানিক ক্যাডার কাঠামোর এই অভাব সমাজসেবা বিভাগের তরুণ, শিক্ষিত পেশাদারদের কাছে কম আকর্ষণীয় করে তুলেছে যারা কর্মজীবনের পরিষ্কার পথ, পদোন্নতি এবং ভালো আর্থিক প্রণোদনার দিকে ঝুঁকছেন। ফলস্বরূপ, অনেক প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ ব্যক্তি বিভাগে যোগদান করা থেকে বিরত থাকেন এবং সুযোগ পেলে অন্যত্র চলে যান।

    প্রতিভার এই বহির্গমন একটি অনুপ্রাণিত এবং অভিজ্ঞ কর্মিবাহিনী বজায় রাখার জন্য অধিদপ্তরের সক্ষমতাকে দুর্বল করে, যা অভাবী জনগণের জন্য প্রদত্ত পরিষেবার মানকেও পরোক্ষভাবে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।

    সমাজসেবা বিভাগের কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষের সুদূরপ্রসারী পরিণতি রয়েছে, বিশেষ করে দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য যারা বিভাগের কর্মসূচির ওপর নির্ভর করে। বার্ষিক প্রায় ৩০০ জন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হচ্ছে, উচ্চ টার্নওভার হার এবং কর্মজীবনের অসন্তোষ পরিষেবা প্রদানে অসংগতি এবং কল্যাণমূলক কর্মসূচির কার্যকারিতা একটি সম্ভাব্য পতনের দিকে পরিচালিত করে।

    ফিল্ড অফিসার যারা সম্পূর্ণভাবে নিযুক্ত বা অনুপ্রাণিত নয়, তারা কল্যাণমূলক উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা ও সহায়তা প্রদান করতে অনেকটা অক্ষম। এর ফলে বিলম্ব, অদক্ষতা এবং পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আস্থার সংকট তৈরি করতে পারে। যখন কর্মীরা তাদের পদ, পদোন্নতি ও মর্যাদা নিয়ে সন্তুষ্ট না হন, তখন তাদের কর্মক্ষমতা অনিবার্যভাবে প্রভাবিত হয়, যা ফলস্বরূপ অধিদপ্তরের মিশন কার্যকরভাবে সম্পন্ন করার ক্ষমতা অনিচ্ছাসত্ত্বেও পরোক্ষভাবে বাধাগ্রস্ত হয়।

    এক্ষেত্রে নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ মোতাবেক শূন্যপদে নিয়োগ, বিদ্যমান স্কেল উন্নীতকরণ তাদের কর্মসন্তুষ্টি বর্ধিতকরণের মাধ্যমে কর্মপরিধি সম্প্রসারণে এবং সরকারি সেবা যথাযথভাবে লাখো জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।

    প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়, সমাজসেবা বিভাগের জন্য সংস্কারের প্রস্তাব করার জন্য দুটি কমিশন গঠন করা হয়েছিল। যদিও এই কমিশনগুলো কিছু পরিবর্তন করেছে, তারা বিভাগের গতিপথকে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন করেনি। সংস্কারগুলো কর্মীদের অসন্তোষ এবং পদ্ধতিগত বৈষম্যের মূল সমস্যাগুলোকে মোকাবিলা করেনি। যার ফলে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসমূহ থেকে বিভাগটি মুক্ত হতে পারেনি।

    অর্থপূর্ণ সংস্কারের অভাব দক্ষ পেশাদারদের আকৃষ্ট করতে এবং ধরে রাখতে বিভাগের অক্ষমতা প্রতিভাত হয়, যা সমস্যাটিকে আরও প্রকট করে তুলেছে। বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাজের সবচেয়ে দুর্বল অংশগুলোকে পরিবেশন করার জন্য নিবেদিত ব্যক্তিদের প্রয়োজনসমূহ মোকাবিলায় অবহেলার একটি বিস্তৃত ধরনকে প্রতিফলিত করে।

    বর্তমান সংকট মোকাবিলা এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য একটি ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। কর্মদক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিভাগটিকে একটি ক্যাডারভিত্তিক ব্যবস্থায় স্থানান্তর করা কর্মজীবনের অগ্রগতির জন্য প্রয়োজনীয় স্বচ্ছতা এবং কাঠামো প্রদান করতে পারে। এটি তরুণ পেশাদারদের জন্য আরও আকর্ষণীয় বিকল্প হিসেবে প্রস্তুত করবে। উপরন্তু, বেতন স্কেল এবং পদোন্নতির সুযোগ সংশোধন করা অভিজ্ঞ কর্মীদের ধরে রাখতে এবং সামগ্রিক কাজের সন্তুষ্টি উন্নত করতে সহায়ক হবে।
    সরকারকে অবশ্যই জাতীয় কল্যাণের কথা বিবেচনা করে সমাজসেবা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা স্বীকার করতে হবে এবং এর কর্মিবাহিনীকে সমর্থন ও ক্ষমতায়নের জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। কর্মীদের পর্যাপ্তভাবে বেতন-ভাতা, মর্যাদা এবং তাদের পেশাগত উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার হাতে নিলে তা শুধু কর্মীদের মনোবল বাড়াবে না, বরং কার্যকরভাবে প্রয়োজনীয় পরিষেবাসমূহ সরবরাহ করার জন্য বিভাগের সক্ষমতাকেও বাড়িয়ে তুলবে।

    অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মতে, নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ (গেজেটেড এবং নন-গেজেটেড কর্মচারী) অনুযায়ী অতিরিক্ত পরিচালক পদে ন্যূনতম তিন বছরের চাকরির অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পদোন্নতিযোগ্য প্রার্থী থাকায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিজস্ব কর্মকর্তাগণকে পরিচালক পদে পদোন্নতি দেওয়া হলে ক্ষোভ অনেকটা প্রশমিত হবে, সেক্ষেত্র অযথা প্রেষণে পদায়নের প্রয়োজন হবে না। তাছাড়া পদোন্নতি কর্মচারীদের কর্মস্পৃহা বাড়ায়। পদোন্নতির পাশাপাশি শূন্যপদে নিয়োগ, স্কেল উন্নীতকরণ করাও অত্যন্ত প্রয়োজন।

    এভাবে সমাজসেবা বিভাগের বিদ্যমান সমস্যাসমূহকে মোকাবিলা করার মাধ্যমে, সরকার নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে যে, সমাজসেবা বিভাগ দেশের সবচেয়ে দরিদ্র ও দুর্বল মানুষদের সমর্থনের স্তম্ভ হিসাবে নিয়োজিত। সমাজসেবা অধিদপ্তর সারাদেশে লাখ লাখ মানুষের কল্যাণ রক্ষা ও সেবা প্রদানে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। তবে এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে পদ ও মর্যাদাসংক্রান্ত অসন্তোষ এই গুরুত্বপূর্ণ মিশনটি পূরণ করার ক্ষমতাকে হ্রাস করছে।

    বিভাগটি কার্যকরভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে পরিষেবা চালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে অসন্তোষের মূল কারণসমূহকে মোকাবিলা করা এবং অর্থপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়ন করা অপরিহার্য।

    অতীতের সরকারগুলোর ব্যর্থতা বা অবহেলা থেকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এই মানবিক অধিদপ্তরটির সংস্কার সময়ের দাবি। প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে, সরকার সমাজসেবা বিভাগকে শক্তিশালী করতে পারে এবং নিশ্চিত করতে পারে যে, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা যথাযথভাবে প্রাপ্ত হবে। শূন্যপদে নিয়মিত নিয়োগ, বিধি অনুযায়ী পদায়ন, পদোন্নতি, স্কেল উন্নীতকরণ, নিয়মিত মনিটরিং, সময়মতো বদলি, সেবার পরিধি বর্ধিতকরণ ইত্যাদি পদক্ষেপের মাধ্যমে এই অধিদপ্তরকে আরও জনমুখী করা সম্ভব।

    লেখক : অধ্যাপক ও প্রাক্তন সভাপতি, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

    জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের কোনো টাকা আত্মসাৎ হয়নি : দুদক

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    অধিদপ্তর বৈষম্যমুক্ত মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার সমাজসেবা হোক
    Related Posts
    Zillur Rahman

    জামায়াত পারলে, আ. লীগ কেন নির্বাচন করতে পারবে না : জিল্লুর রহমান

    June 22, 2025
    শবনম ফারিয়া

    জাতি হিসেবে আমরা বেহায়া-নির্লজ্জ, আমরা কক্ষনো ভালো হবো না: শবনম ফারিয়া

    June 20, 2025
    সালাহউদ্দিন

    আমরা স্বাধীন বিচার বিভাগের জন্য সংগ্রাম করছি : সালাহউদ্দিন

    June 19, 2025
    সর্বশেষ খবর
    ছেলে ও মেয়ে

    পুরুষদের ৭টি জিনিস মেয়েরা ভীষণ পছন্দ করেন

    headache home remedy

    What to Do If You Have Regular Headaches? 7 Doctor-Free Solutions You Can Try at Home

    Taka

    দ্রুত মুনাফা পাওয়ার ১০,০০০ টাকার সেরা বিনিয়োগের আইডিয়া!

    image-55

    গাজীপুরে বিএনপির আনন্দ মিছিল

    image-5

    উত্তম কৃষিচর্চা নিশ্চিতকল্পে গাজীপুরে ‘পার্টনার কংগ্রেস’

    gazipur

    নুরুল হুদাকে নিয়ে মব জাস্টিস করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

    আবাসিক হোটেল

    আবাসিক হোটেলে উঠে ভুলেও যেসব কাজ করবেন না

    ওয়েব সিরিজ

    উল্লুর নতুন ওয়েব সিরিজে কাঁপাচ্ছে নেট দুনিয়া, একা দেখাই ভাল!

    check secret recordings on mobile

    How to Know If Your Smartphone Is Secretly Recording You

    foods to improve eyesight

    Experts Recommend These 5 Foods to Improve Your Eyesight Naturally

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.