স্পোর্টস ডেস্ক : চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বের শেষদিকে এখন মৌসুম। ব্যালন ডি’অরে গোল্ডেন বলের লড়াই তাই জমে উঠেছে পুরোদমে। কিলিয়ান এমবাপ্পে, করিম বেনজেমা, ভিনিসিয়াস জুনিয়ররাও আছেন এই তালিকায়। তবে, শেষ পর্যন্ত গোল ডটকমের পাওয়ার র্যাঙ্কিংয়ে সবার আগের দুইটি নাম হচ্ছে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি এবং ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার আর্লিং হাল্যান্ড।
মেসি না হয় বিশ্বকাপ জিতেছেন। তবে, মৌসুমের শেষার্ধে এসে এই বিশ্বকাপ জয়ীর অষ্টম ব্যালন ডি’অর জয়ের সম্ভাবনায় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজিয়ান গোলমেশিন আর্লিং হাল্যান্ড। মেসি যখন ফুটবল থেকে দুই সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা পার করছেন, হাল্যান্ড তখন পূর্ণ করেছেন সিটির জার্সিতে ৩৫ তম প্রিমিয়ার লিগ গোল।
ব্যালন ডি’অর ২০২৩ এর তালিকায় সবার উপরের দুইটি নাম হচ্ছে লিওনেল মেসি ও আর্লিং হাল্যান্ড। তবে কয়েক মাস আগেও ধারণা করা যায়নি, মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কারের জন্য প্রতিযোগিতা হবে এই দুইজনের মধ্যে। মৌসুমের প্রথমার্ধে মেসি ছিলেন পিএসজির জার্সিতে দারুণ ফর্মে। এরপরই তিনি স্বাদ পান ক্যারিয়ারের সুন্দরতম অর্জন, বিশ্বকাপ ট্রফির। সোনায় মোড়ানো ক্যারিয়ার যেন পায় পূর্ণতা! সে সময় হাল্যান্ড ছিলেন না পাদপ্রদীপের আলোয়। বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি নরওয়ে। লিগ শিরোপার দৌড়েও ম্যানসিটিকে বেশীরভাগ সময়ই থাকতে হয়েছে আর্সেনালের পেছনে।
তবে সময় পাল্টেছে। বিশ্বকাপ পরবর্তী মৌসুমটিও মেসির জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ভিন্ন। পিএসজির সাথে চুক্তি নবায়নের সম্ভাবনাও এখন নেই বললেই চলে। দর্শকদের দুয়োও শুনতে হয়েছে তাকে। অন্যদিকে, ম্যানচেস্টার সিটি এখন ‘প্রায় নিখুঁত’ এক ফুটবল ক্লাব। আর, দলটির সবচেয়ে ধারালো অস্ত্রের নাম আর্লিং হাল্যান্ড। দলকে ট্রেবল জেতানোর লক্ষ্যে এখন অনেকটাই অপ্রতিরোধ্য এই নরওয়েজিয়ান গোলমেশিন। ব্যালন ডি’অর তাই জয় করবেন কে, সেই বিতর্ক এখন হয়েছে আরও জোরালো। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, অনেকটাই যেন এগিয়ে আছেন হাল্যান্ড।
গতবারের ব্যালন ডি’অরে দ্বিতীয় থেকেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল হাল্যান্ডকে। চলমান মৌসুমে সময়ের অন্যতম সেরা এই স্ট্রাইকারের নামের পাশে আছে ৫২ গোল ও ৮টি অ্যাসিস্ট। এখানেই তাই প্রশ্ন চলে আসে, নামের পাশে অন্তত ৬০টি গোল নিয়ে যদি মৌসুম শেষ করেন হাল্যান্ড, ম্যান সিটি জয় করে ট্রেবল, লিওনেল মেসি পিএসজির হয়ে আর এক মিনিটও না খেলেন, তবে কে জিতবে ব্যালন ডি’অর? আর এভাবেই যদি সব হয়, তবে হাল্যান্ডের হাতে এই পুরস্কারটি না উঠলে সেটাই হবে নির্মম সিদ্ধান্ত।
গতবারও ব্যালন ডি’অর জয় করেছিলেন লিওনেল মেসি। চলতি মৌসুমে আর্জেন্টাইন এই মায়েস্ত্রো করেছেন ৩৭ গোল ও ২৪ অ্যাসিস্ট। জয় করেছেন বিশ্বকাপ ও ট্রফি দে চ্যাম্পিয়নস। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের পথে মেসির পারফরমেন্সে তাকেই নিঃসন্দেহে ব্যালন ডি’অর জয়ের ক্ষেত্রে ফেভারিট ধরা যেতো। কিন্তু ২০২৩ সালে পিএসজির জার্সিতে মেসির ফর্মহীনতা ও ক্লাব থেকে দুই সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞায় পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গেছে। অষ্টম ব্যালন ডি’অরটা কি তবে মেসি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।