জুমবাংলা ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে মাথার খুলি ও মগজ ছাড়া জন্ম সেই কন্যা শিশুটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
মঙ্গলবার (২৫ মে) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে সেই বিরল শিশুটির মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গতকাল জন্ম নেয়া সেই বিরল কন্যা শিশুটি জন্মের পর কিছুটা সুস্থ থাকলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে শিশুটি আর নড়াচড়া করেনি। পরে বিকেলে শিশুটি মারা যায়। শিশুটি নাসিরনগর উপজেলার বলাকুট ইউনিয়নের বলাকুট গ্রামের তানজিনা বেগম ও জসিম উদ্দিন দম্পতির প্রথম সন্তান ছিল।
হাসপাতাল ও পরিবার শিশুটির পারিবারিক সূত্র জানায়, তানজিনা যখন সাত মাসের গর্ভবতী হয় তখন একজন গাইনি চিকিৎসক আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে জানিয়েছিল, জন্ম নিতে যাওয়া অনাগত শিশুটি শারীরিকভাবে অসুস্থ হবেন এবং তার মাথার খুলি হবে না।
সোমবার বিকেলে তানজিনার প্রসব বেদনা উঠলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পনে সেখানে গাইনি বিভাগের চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় কোনো প্রকার অস্ত্রোপচার ছাড়াই শিশুটি জন্ম নেয়। শিশুটি জন্ম নেওয়ার পর তার মাথা খুলি ও মগজ ছিল না। এ অবস্থায় আজকে কন্যা শিশুটির মৃত্যু হয়।
এব্যাপারে হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক মাহফিদা আক্তার হ্যাপী জানান, শিশুটি মাথা খুলি ও মগজ ছাড়া জন্ম নিয়েছিল। এমন জন্ম নেওয়া শিশুদের আমরা এনেনসেফালি (Anencephaly) বলি। এই শিশু গুলো সচরাচর ২৪ ঘন্টা থেকে ৪৮ ঘন্টার মতো বেঁচে থাকে।
হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. আখতার হোসেন জানান, শিশুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল৷ এ ধরনের শিশু বাঁচার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। মায়ের আয়রন ও পুষ্টি জনিত সমস্যার কারনে শিশুটির খুলি ও মগজ গঠন হয়নি। বাংলাদেশে এনেনসেফালি রোগে আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসা তেমন নেই। আমাদের সাধ্য মতো চিকিৎসা দিয়েছি।
শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। তবে শিশুটির অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে শিশুটিকে আবারো শিশুটিকে হাসপাতালে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।