জুমবাংলা ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় উপজেলার চর চারতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। টানা দুই ঘণ্টার সংঘর্ষে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক ও জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, চর চারতলা এলাকায় দীপু সর্দারের বাড়ির লন্ড্রির দোকানের সামনে দুপুরে দুই যুবক দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় লন্ড্রিতে থাকা ব্যক্তি নাম-পরিচয় জানতে চাইলে তারা ক্ষুব্ধ হন। ‘আমরা কে দেখাচ্ছি’ বলে হুমকি দিয়ে চলে যান তারা। উভয়পক্ষ বিষয়টি এলাকার নিজ নিজ গোষ্ঠীর লোকদের জানায়।
পরে আনু সর্দার ও শিয়াল বাড়ির লোকজন দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে তারা। খবর পেয়ে প্রথমে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ, পরে জেলা পুলিশ লাইন্স থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষ চলাকালে সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজউদ্দিন, কনস্টেবল মারুফ ও সোহাগসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আহত হয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর। মোট আহত হয়েছেন ২০ জন। তাদের মধ্যে সাত জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অন্যদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সাইদুর রহমান ও সোলাইমান মিয়া জানান, আহতদের শরীরে বিভিন্ন অংশে শটগানের গুলি লেগেছে। তবে তারা শঙ্কামুক্ত।
সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় দুই জনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। পরবর্তী সংঘর্ষের আশঙ্কায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।