পুঁজিবাজার ডেস্ক : ব্রোকারেজ হাউসের ১০ হাজার কোটি টাকার ফান্ডের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, পুঁজিবাজারের জন্য কোনো তহবিল গঠনের এখতিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেই। আবার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকের ব্রোকারেজ হাউসগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো প্রতিষ্ঠান না হওয়ায় তাদের সহায়তা দেয়ার সুযোগ নেই। তবে ব্যাংকগুলোকে রেপোর মাধ্যমে অর্থ নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে একটি ব্যাংক সুবিধা নিয়েছে। আরও কোনো ব্যাংক আবেদন করলে তাদেরও সহায়তা দেয়া হবে।
এর আগে আস্থা ও তারল্য সংকটের পুঁজিবাজারকে লাইফ সাপোর্ট দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার ফান্ড চেয়েছিলো তফসিলি ব্যাংকগুলোর সাবসিডারি ব্রোকারেজ হাউসগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, পুঁজিবাজারে চলমান দরপতন ঠেকাতে ব্রোকারেজ হাউসের জন্য তহবিল সহায়তার সুযোগ নেই। তবে সরকার তহবিল গঠনের কোনো উদ্যোগ নিলে তা পরিচালনাসহ সার্বিক সহযোগিতা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এছাড়াও সম্প্রতি মার্কেট সাপোর্টের জন্য ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) ছাড়কৃত অর্থ জমা দেয়ার সময় বাড়াবে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি রেপোর বিষয়টিও শিথিল করবে।
সম্প্রতি ব্রোকারেজ হাউসগুলোর প্রস্তাবে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক এস এম রবিউল হাসানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। চারটি ব্রোকারেজ হাউসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়াও বৈঠকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান, সিএসইর পরিচালক সাইদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা ব্যাংক ব্রোকারেজ হাউস, ব্র্যাক ইপিএলসহ ব্রোকারেজ হাউসগুলোর একাংশ বিনিয়োগের জন্য সহজ শর্তে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল চেয়ে গত ২৪ অক্টোবর অর্থমন্ত্রীর কাছে একটি আবেদন করে। মাত্র ৩ শতাংশ সুদে ছয় বছর মেয়াদে এ তহবিল চাওয়া হয়। আবেদনের অনুলিপি দেয়া হয় বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসিসহ বিভিন্ন সংস্থায়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজারের জন্য কোনো তহবিল গঠন করতে পারে না। আবার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকের ব্রোকারেজ হাউসগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো প্রতিষ্ঠান না হওয়ায় তাদের সহায়তা দেয়ার সুযোগ নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।