জুমবাংলা ডেস্ক : বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে নারী কাউন্সিলরের টাকা ছিনতাই, মারধরসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৯ মে) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এসব অভিযোগ তুলে বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ওই ভুক্তভোগী নারী কাউন্সিলর।
মোংলা পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শিউলি আক্তার বাংলাদেশ আওয়ামী যুব মহিলা লীগের পৌর শাখার সহ-সভাপতি।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুরে মোংলা শহরের চৌধুরীর মোড়ে ইসলামী ব্যাংক, মোংলা শাখার তৃতীয় তলা থেকে ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন আমার স্বামী সোহাগকে টেনে হিঁচড়ে রাস্তায় নিয়ে যায়। সেখানে ইকবালসহ তার ক্যাডার মো. লিটন, মো. মিজান ও মো. ইয়াকুব মিলে আমার স্বামী সোহাগকে বেধড়ক মারপিট করে। আমার স্বামীর কাছে একটি পাটের ব্যাগে থাকা ৭ লাখ ১৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। তার ডাক চিৎকার শুনে নিচে আসলে ইকবাল পরনের কাপড় ধরে আমাকে রাস্তার ওপর টেনে হিঁচড়ে ফেলে আমার শ্লীলতাহানি ঘটায়। আমার গলায় থাকা ২ ভরি ৪ আনা ওজনের সোনার চেইন এবং হাতে থাকা এক ভরি ৯ আনা ওজনের ব্রেসলেট ছিনিয়ে নেয়। যার আনুমানিক মূল্য দুই লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
তিনি আরও জানান, মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে ওইদিনই মোংলা থানায় এজাহার দায়ের করি। কিন্তু তিনদিন পার হলেও থানা পুলিশ দৃশ্যমান কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ইকবাল ও তার ক্যাডারদের বিরুদ্ধে। উল্টো ইকবাল এখন আমাকে জোরপূর্বক মীমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছেন। আমি আমার টাকা ও আমাদের মারধরের বিচার চাই।
মোংলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, কাউন্সিলর শিউলি আক্তার আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছেন তা সত্য নয়। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি পক্ষ এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।