ভারতের নয়াদিল্লীতে আগুনে পুড়ে যে ৪৩ জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে সেই তালিকায় হয়তো নাম রয়েছে ৩০ বছর বয়সী মোশারফেরও। আগুনে পুড়ে মরে যাচ্ছেন জানিয়ে ভাইয়ের কাছে ফোন করেছিলেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশের এই যুবক শেষবারের মতো ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কীভাবে বাঁচার আকুতি করেছেন আর তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে কতটা চিন্তিত ছিলেন তারই বিবরণ উঠে এসেছে এনডটিভির এক প্রতিবেদনে।
ভাই বিজনকে ফোন করে মোশারফ বারবারই বলছিলেন, ভাই আমি মরে যাচ্ছি। আমার পরিবারকে দেখে রেখো।
মোশারফের সঙ্গে কী কথা হয়েছে তা জানিয়ে বিজন বলেন, মোশাররফ বলছিলেন- ভাই আমি মারা যাচ্ছি। সব জায়গাতেই আগুন। কাল দিল্লি এসে আমার লাশটা নিয়ে যেও। মুক্তি পাওয়ার কোনও উপায় নেই।
মোশারফ তার ভাইকে বলেন, আমি আর বাঁচব না। আমার পরিবার, স্ত্রী-সন্তানকে দেখে রেখো। আমি নিশ্বাস নিতে পারছি না। এসে আমাকে নিয়ে যেও। বিজন যখন তার মোশারফকে বাঁচার জন্য চেষ্টা করতে বলেন; ফোনের অন্যপ্রান্তে তখন মোশারফ বলছিলেন- আর উপায় নেই।
উল্লেখ্য, রোববার ভোর ৫টার দিকে দিল্লিতে রানি ঝাঁসি রোডের আনাজ মান্ডিতে আগুন লাগে ব্যাগ তৈরির একটি কারখানায়। এতে কমপক্ষে ৪৩ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
আগুন লাগার সময় ব্যাগ উৎপাদনকারী কারখানাটির ভেতরে শ্রমিকরা ঘুমিয়ে ছিলেন। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর ৩০টি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।