আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাব ইনসপেক্টর সুমন কুমারী। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর প্রথম নারী স্নাইপার। দেশেরও প্রথম এই নারী স্নাইপার কার্যত জঙ্গিদের বুকে ভয় ধরানোর জন্য যথেষ্ট। ইন্দোরে সেন্ট্রাল স্কুল অফ উইপনস অ্যান্ড ট্যাকটিক্সে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। আট সপ্তাহের স্নাইপার কোর্স। সেখানে সম্মানের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
হিন্দুস্তান টাইমস এসব খবর নিশ্চিত করে জানিয়েছেঃ
একেবারে সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছেন সুমন কুমারী। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলাতে বড় হয়েছেন। ২০২১ সালে তিনি বিএসএফে যোগ দিয়েছিলেন। তার বাবা ইলেকট্রিশিয়ান, মা গৃহবধূ। নিতান্তই সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা সুমন কুমারীই এবার ভারতের নারী শক্তিকে এক অন্য দিশা দেখালেন।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, স্নাইপার কোর্সের জন্য প্রচুর শারীরিক ও মানসিক শক্তি লাগে।
এবার ট্রেনিংয়ের সময়ও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। একেবারে ক্যামোফ্লেজে শত্রুর কাছ পর্যন্ত যাতে চলে যেতে পারে স্নাইপার, যাতে তাকে বোঝা না যায় সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এক প্রশিক্ষক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, অনেক সময় পুরুষরাই এই প্রশিক্ষণে নাম দিতে চান না। আর সুমন কুমারী নিজে টিমকে লিড করেছেন।
কমান্ডো ট্রেনিংয়ের পর অন্যতম শক্ত ট্রেনিং হল এই স্নাইপার কোর্স। সুমন সেই স্নাইপার ইনস্ট্রাকটর হিসেবেই কাজ করবেন। ৫৬জন পুরুষের মধ্যে একমাত্র লেডি বিএসএফ হিসেবে সুমন এই কোর্সে এসেছিলেন। বিএসএফ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে, নারী স্নাইপারকে আমাদের অভিনন্দন। বিএসএফে নারীরা দ্রুত তাদের কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন। কঠিন প্রশিক্ষণের পর বিএসএফ এই প্রথম নারী স্নাইপারের পদটি পেয়েছে।
অনেকের মতে, এই স্নাইপার বাহিনীর কাজটা অত্যন্ত কঠিন। শত্রুপক্ষ জানতেই পারে না কোথায় লুকিয়ে রয়েছে এই স্নাইপার। আচমকাই ধেয়ে আসে গুলি। আর তারপরই লুকিয়ে পড়ে শত্রু। মূলত দূরবীন লাগানো রাইফেল থেকেই তাক করা হয়। আবার লুকিয়ে থেকেও অতর্কিতে শত্রুর উপর হামলা চালানো হয়। এমনকি স্নাইপার বাহিনী কিছুক্ষেত্রে একেবারে শত্রুর কাছে চলে যায়। এই কাজটা আরও কঠিন। আরও চ্যালেঞ্জের। তবে সেই চ্যালেঞ্জই নিয়েছিলেন সুমন কুমারী। তিনি সাফল্যের সঙ্গে এই পরীক্ষায় নিজের কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।