আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতীয় ভাঙা চালের শীর্ষ ক্রেতায় পরিণত হয়েছে চীন। এর আগে ভারত এসব চালের বেশির ভাগই আফ্রিকার দেশগুলোয় রফতানি করত। মূলত নিম্নমুখী উৎপাদনের কারণে চালের আমদানি বাড়িয়েছে চীন। এক্ষেত্রে গুণগত মান ও সাশ্রয়ী দামের কারণে ভারতীয় চাল চীনের ক্রেতাদের আমদানিতে আকৃষ্ট করছে। খবর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
বাণিজ্যিক তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে চীন তার প্রতিবেশী দেশটি থেকে ১৬ লাখ ৩৪ হাজার টন চাল আমদানি করে। এটি ভারতের মোট রফতানির ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ।
এদিকে চীন ভারতের কাছ থেকে যে পরিমাণ চাল আমদানি করেছে তা ৯৭ শতাংশই ভাঙা চাল। অর্থাৎ ওই অর্থবছরে দেশটি ভারতের কাছ থেকে ১৫ লাখ ৭৬ হাজার টন ভাঙা চাল ক্রয় করে। ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা মেটাতেই দেশটি থেকে বিপুুল পরিমাণ চাল আমদানি করা হয়।
তথ্য বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাসমতি ও নন-বাসমতি মিলিয়ে ভারত ২ কোটি ১২ লাখ ১০ হাজার টন চাল রফতানি করে। ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় এ সময় ১৯ দশমিক ৩০ শতাংশ বেশি চাল রফতানি করা হয়। ওই সময় দেশটি ১ কোটি ৭৭ লাখ ৭৯ হাজার টন চাল রফতানি করেছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এক বছরের ব্যবধানে চীনে ভারতের চাল রফতানি বেড়েছে ৩৯২ দশমিক ২০ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে যেখানে ৩ লাখ ৩১ হাজার টন রফতানি করা হয়েছিল, সেখানে ২০২১-২২ অর্থবছরে রফতানি বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ লাখ ৩৪ হাজার টনে।
২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতের মোট চাল রফতানির ১৪ দশমিক ৭৩ শতাংশই এসেছে বাসমতি চাল থেকে। এ সময় বাসমতি চাল রফতানির পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৯ লাখ ৪৮ হাজার টনে।
এ সময় নন-বাসমতি চালের বাজার হিস্যা ছিল ব্যাপক। এ চালের রফতানি দাঁড়ায় ১ কোটি ৭২ লাখ ৬২ হাজার টনে।
২০২১-২২ মৌসুমে ভারত ৮৩টি দেশে ৩৮ লাখ ৬৪ হাজার টন ভাঙা চাল রফতানি করে। এর মধ্যে সিংহভাগই রফতানি হয়েছে চীনে।
বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, নুডলস ও মদ তৈরিতে চীনের বাজারে ভারতীয় ভাঙা চালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ঊর্ধ্বমুখী চাহিদার কারণেই চীনে ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ ভাঙা চাল ক্রয় করেছে।
এছাড়া ভুট্টার মূল্যবৃদ্ধির কারণেও চীনের মিলগুলো বিকল্প শস্য হিসেবে চালের দিকে ঝুঁকছে। এ বিষয়ও চাহিদা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।