জুমবাংলা ডেস্ক: দুটি পৃথক চালানের মাধ্যমে ভারত থেকে আজ কোভিড -১৯ ভ্যাকসিনের ৩৫ লাখ ডোজ পাবে বাংলাদেশ।
এছাড়া, রাশিয়া এবং চীন সহ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশে ভ্যাকসিন পাঠানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
তিনি গতকাল বলেছেন, ‘বৃহস্পতিবার আমরা ভরতে থেকে উপহার হিসাবে ২০ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পেয়ে যাব। এছাড়াও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পৃথক চালানে ভারত থেকে আরও ১৫ লাখ ভারতীয় ভ্যাকসিন আসবে।’
মোমেন বলেন, বৃহস্পতিবারের চালানের পর ধারাবাহিকভাবে ভারত থেকে ভ্যাকসিনের চালান আসবে।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া ও চীন সহ আরও কয়েকটি দেশ তাদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বাংলাদেশে প্রেরণের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সামনের দিনগুলিতে আমাদের কাছে প্রচুর ভ্যাকসিন থাকবে। ভারত থেকে প্রথম শিপমেন্ট পাওয়ার পরে সরকার জনগণের মধ্যে ভ্যাকসিন প্রদান শুরু করবে।’
এদিকে, গতকাল সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, কোভিড -১৯ ভ্যাকসিনটি ১৮ উর্ধ্ব সকল বাংলাদেশি নাগরিককে বিনামূলে প্রদান করা হবে। সরকার, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (বিপিএল) এবং সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই) এর মধ্যে গত ৫ নভেম্বর স্বাক্ষরিত একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং পরবর্তী সময়ে ১৩ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রাথমিকভাবে এসব টিকা পাচ্ছে।
চুক্তিটি অনুযায়ী বাংলাদেশ সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে পর্যায়ক্রমে তিন কোটি ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পাবে।
স্বাস্থ্যসেবা মহাপরিচালক (ডিজিএইচএস) প্রফেসর ডঃ আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানান, ফেব্রুয়ারির প্রথম থেকে সরকার দেশব্যাপী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিতরণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, তার অফিস সারা দেশে কোভিড-১৯ টিকাদান করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহন করেছে যাতে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে টিকাদান চালু করা যেতে পারে। ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চিকিৎসা পেশাদার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, মিডিয়া কর্মী এবং স্থানীয় সরকার সংস্থা কর্মকর্তা এবং কর্মচারী, প্রবীণ লোকজন এবং অন্যান্য কোভিড-১৯ রোগীদের কাছাকাছি অবস্থানকারী ব্যক্তিদেরকে টিকা লাভের জন্য অগ্রাধিকার গ্রুপ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য দুটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োজন হবে। প্রথম ডোজ টিকা গ্রহনের আট সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। ডিজিএইচএস প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০ লাখ লোককে টিকা প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। কারণ প্রতি মাসে প্রায় ৫০ লাখ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আসবে।
সরকার এখন পর্যন্ত ছয় জন স্বাস্থ্যকর্মীর সমন্বয়ে মোট ৭৩৪৪ টি ভ্যাকসিন বিতরণ দল গঠন করেছে। এছাড়া, প্রায় ৪২,০০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।