জুমবাংলা ডেস্ক: করোনার কারণে দেশজুড়ে লকডাউনের মাঝে নিয়মিত আদালত বিচারকাজ না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
গতকাল (৪ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেন।
সিদ্ধান্ত অনুসারে লকডাউন চলাকালে সোমবার থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ভার্চুয়ালি চারটি বেঞ্চ (তিনটি দ্বৈত ও একটি একক) এবং সপ্তাহে দু’দিন (মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার) আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের কার্যক্রম চলবে। পাশাপাশি দেশের অধস্তন আদালতগুলোর মধ্যে জেলাপ্রতি একজন ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে জরুরি বিষয়ে বিচারকাজ পরিচালিত হবে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোর্টে হাজিরের পর আদেশ প্রদানের জন্য ওই ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
এ বিষয়ে রবিবার রাতে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে পৃথক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
এর আগে সকালে আপিল বিভাগে একটি মামলার শুনানিতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, সাংবিধানিক কোর্ট বন্ধ থাকতে পারে না। করোনা পরিস্থিতিতেও ভারতের সাংবিধানিক কোর্ট কখনও বন্ধ থাকেনি।
এ সময় ওই মামলার শুনানিকালে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, প্রবীর নিয়োগী ও অন্য আইনজীবীরা আপিল বিভাগে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন। তারাই আদালতের কাছে জানতে চান, লকডাউন চলাকালে আপিল বিভাগের কার্যক্রম চলবে কিনা।
গত বছরের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাবে দেশের সব আদালতের বিচার ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে করোনাসহ যে কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বিচারকাজ অব্যাহত রাখতে ওই বছরের ৯ মে রাষ্ট্রপতি আদালতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ জারি করেন। এরপর থেকে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট ভার্চুয়ালি পরিচালিত হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।