সুস্থ থাকার জন্য ঘুম খুব জরুরি। স্বাভাবিক প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। তবে বয়স অনুযায়ী শরীরে ঘুমের চাহিদা ভিন্ন হয়। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে বিছানায় শুয়ে থাকলেও ঘুমের সমস্যা হয় অনেকের। ঘুমোতে যাবার কিছু নিয়ম আছে যা জানা থাকলেই ঘুম না আসার সমস্যা কেটে যাবে। ঘুমের জন্য নিজেকে কীভাবে তৈরি করবেন সে বিষয়ে পাঁচটি টিপস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আপনি কি সত্যি সত্যিই ক্লান্ত
আপনি সত্যি ক্লান্ত কিনা সেটা জেনে ঘুমাতে যান। আপনি যদি সত্যি ক্লান্ত হয়ে বিছানায় যাবার জন্য তৈরি হন তাহলে সহজেই ঘুম এসে যায়। তবে একজনের কাছে যা স্বাভাবিক ঘুমানোর সময় – অন্য কেউ কেউ সে সময়টায় ঘুমাতে পারেন না। যদি আপনার এ সমস্যা থাকে, তাহলে দিনের বেলা যত বেশি সম্ভব সময় প্রাকৃতিক আলোর মধ্যে কাটাতে চেষ্টা করুন, এবং সেটা শুরু করুন ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই। দিনের বেলা যথেষ্ট ব্যায়াম ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিছানায় যাবার আগের চার ঘণ্টার মধ্যে ব্যায়াম না করলেই ভালো। কারণ এর ফলে শরীরে যে এ্যাড্রিনালিন নি:সৃত হয় – তা হয়ত আপনাকে ঘুমোতে দেবে না।
খাবারের দিকে নজর দিন
ঘুমানোর আগে গুরুপাক, চিনিযুক্ত খাবার খাবেন না। প্রকৃতপক্ষে ভালো ঘুমের প্রক্রিয়া শুরু হয় বিছানায় যাবার সময়ের অনেক আগে। তাই ঘুমাতে যাবার অন্তত ৬ ঘণ্টা আগে থেকেই ক্যাফেইন আছে এমন কোন পানীয় পান করা বন্ধ করে দিন। ক্যাফেইন এমন এক জিনিস যা আপনার শরীরে থাকে অন্তত ৯ ঘণ্টা। কাজেই ভালো করে ঘুমাতে চাইলে দুপুর ১২টার পর থেকেই চা, কফি এবং কোক-পেপসির মতো ‘ফিজি ড্রিংকস’ পান বাদ দেবার কথা ভাবুন।
অনেকেই খালি পেটে ঘুমাতে পারেন না। তবে একেবারে ভরপেট খেয়ে বিছানায় গেলেও ঘুমের অসুবিধা হতে পারে। যদি পারেন তাহলে ঘুমের সময়ের প্রায় চার ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। এবং তাতে ভারী গুরুপাক খাবার বা চিনি-যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এতে ঘুম না হওয়া বা রাতে জেগে ওঠার সমস্যা কেটে যাবে।
ঘুমের সঙ্গে স্বাস্থ্যের সম্পর্ক
ঘুমের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তৈরি হতে হবে ঘুমানোর আগে থেকেই। প্রতিদিন এক সময়ে ঘুমাতে যান, ঘুমের আগে পানীয় এড়িয়ে চলুন, ঘরে ঘুমের পরিবেশ তৈরির দিকে নজর দিন। যে ঘর অন্ধকার, অতিরিক্ত গরম নয়, জিনিসপত্রে ঠাসা নয়, যেখানে নানা যন্ত্রপাতি বা মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নেয় এমন কিছু নেই। ঘুমের এক ঘণ্টা আগে থেকে টিভি-স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
আপনার ঘুমকে অগ্রাধিকার দিন
কম ঘুম হলে তা আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বহু বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। রাতের পর রাত যদি পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুম হয় – তাহলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, বা ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ঘুম কম হলে তা আপনার আয়ুও কমিয়ে দেয়। প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান এবং নিশ্চিত করুন যেন প্রতি রাতে আপনার সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।