সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : “সাটুরিয়ায় ডিলারের কারসাজি ১০ টাকা দরে পঁচা চাউল” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলার অনিল চন্দ্র সাহা।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলার অনিল চন্দ্র সাহা বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টলে “সাটুরিয়ায় ডিলারের কারসাজি ১০ টাকা দরে পঁচা চাউল” শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। একটি মহল তাদের ব্যক্তি স্বার্থে আমার সুনাম ও বর্তমান সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর মত মহৎ উদ্যোগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এহেন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে পাটের বস্তা ভর্তি চাল কার্ডধারীদের দেওয়া হয়। অথচ আমি নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে পাটের বস্তার কোন চাল আমদানি করিনি। যেহেতু আমি আমি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলার হিসেবে ২০২০ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত হই অতএব ২০১৬ সালের পাটের বস্তা আমার কাছে থাকার কথা নয়।
সংবাদে আমাকে ওএমএস ডিলার বলে উল্লেখ করা হয় অথচ আমি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি সাটুরিয়ার ডিলার উক্ত দিন ভিজিডি অফিসারের উপস্থিতিতে বিতরণ শুরু হইলে ১০/১৫ কেজি পরিমানের খারাপ চাউল পাটের বস্তায় করে বিতরণ স্থলে রেখে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সেদিন ১৫ জন উপকারভোগীর মাঝে চাউল বিতরণ করেছি। ভিজিডি অফিসার চাউল বিতরণের মাষ্টার রোল ও স্টক মিলিয়ে সবকিছু সঠিক পান।
আমার লাইসেন্স হবার পর থেকে কতিপয় সাংবাদিক অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের চেষ্টা করে। আমি তাহাদের ইচ্ছাপূরণ না করাতে ১৫/০৯/২১ এর সংবাদের সৃষ্টি বলে আমি মনে করি। সুবিধাভোগীদের নিকট জিজ্ঞেস করলেই জানা যাবে প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীকে সুনামের সঙ্গে এগিয়ে নিতে আমি ও আমার প্রতিষ্ঠান বদ্ধপরিকর। আমি উক্ত সংবাদের সত্যতা যাচাই করে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মামুন মিয়া, সহ-সভাপতি এ.বি. খান বাবু, মোঃ তজুমুদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।