জুমবাংলা ডেস্ক : একই নামে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৩০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা হলেন- জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিস, পল্লব দাস, রফিকুল ইসলাম খান ও আলিফ হোসেন।
এদের মধ্যে পল্লব দাস রংপুর বিভাগীয় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আইটি সেকশনে খণ্ডকালীন নিযুক্ত ছিলেন। আর জয়নাল আবেদীন তার মাধ্যমে নিজ নামের জাতীয় পরিচয়পত্রে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পরিবর্তন করিয়ে নিতেন।
সম্প্রতি জয়নাল আবেদীন নন-ব্যাংকিং ফিন্যান্সিয়াল প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি থেকে ৫০ লাখ টাকা ঋণ পান। ঋণপ্রাপ্তির কাগজপত্র মেঘনা ব্যাংকে জমা দিয়ে তার নামে প্রায় ৩ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার আবেদন করেন। মেঘনা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার কাগজপত্র সন্দেহ হলে ডিবির দ্বারস্থ হয়। পরে ডিবির রমনা বিভাগ তদন্ত করে জয়নালের ঋণ জালিয়াতির তথ্য পায়। এরপরই শুক্রবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, জয়নাল এ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংক থেকে কয়েক কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। প্রতিটি ঋণের আবেদনে তিনি তার এনআইডি ও একটি জমির দলিল ব্যবহার করেছেন। এনআইডিতে তার নাম-পরিচয় ঠিক রেখে এনআইডির সিরিয়াল নম্বর পরিবর্তনের জন্য পল্লব দাসের সহায়তা নিতেন। পল্লব দাস রংপুর বিভাগীয় নির্বাচন কমিশনে আইটি সাইটটি দেখতেন।
এ কারণে পল্লব দাস নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে ঢুকে তথ্য পরিবর্তন করতে পারতেন। সেই সুযোগটি জয়নাল কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে তার এনআইডি জমা দেন। এর সঙ্গে জমির দলিল একটাই দেওয়া হতো। ওই জমির দলিলের বিভিন্ন তথ্য পরিবর্তন করে জাল দলিল জমা দেওয়া হতো ব্যাংকে। এভাবেই তিনি কয়েক কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। তিনি ভাটারা এলাকায় একটি সাত তলা বাড়ি ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় চারটি ফ্ল্যাট কিনেছেন।
ডিবি প্রধান হারুন আরও বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ অনুমোদনের পেছনে হয়তো সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তারা জড়িত থাকতে পারে। সে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। কয়টি ব্যাংক থেকে তিনি ঋণ নিয়েছেন এবং তার পেছনে আর কারা কারা জড়িত রয়েছে- সে বিষয়ে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।